এশিয়ার বৃহত্তম বার ঢাকা আইনজীবী সমিতির (ঢাকা বার) ২০১৬-১৭ বর্ষের নির্বাচনে (ভোটে) সরকার সমর্থিত আওয়ামী লীগ সমন্বয় পরিষদ সাদা প্যানেলের সভাপাতি সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ পদে এগিয়ে রয়েছেন।জানা গেছে, সম্পাদকীয় ১২টি পদের মধ্যে ৯টি পদে সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন এবং ৩টি সম্পাদকীয় পদে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের প্রার্থীরা এগিয়ে। অপরদিকে, মাত্র সিনিয়র সহসভাপতির একটি পদে, ট্রেজারার (কোষাধ্যক্ষ) ও কল্যাণ সম্পাদক এই তিনটি পদে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল এগিয়ে রয়েছে। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হতে পারে বলে বিএনপির আইনজীবী সুত্র আশংকা করছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। দুই দিনব্যাপি ভোটগ্রহণ শেষে সর্বশেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত ভোট গণনা চলছে। পরপর দুই দিনে আইনজীবীদের ভোট পড়েছে মোট আট হাজার একশত ৩৪টি। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরে ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন। ভোট গণনা চলছে বলেও জানান তিনি। তবে বলা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত কে বিজয়ী হয় তাও সঠিক বলা যাচ্ছে না। শুক্রবার দুপুর থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে।এদিকে ফলাফলের অপেক্ষায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের আইনজীবীরা অপেক্ষা করছেন। ফলাফল প্রত্যাশী আইনজীবীদের ভিড় লেগেই আছে।এর আগে বুধবার ও বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলে। ঢাকা বারের ২০ হাজার ৩৯ জন আইনজীবীর মধ্যে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৫০ জন। ঢাকা বারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট মো. শাহ্ আলম খান। এ নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২০১৬-২০১৭ বর্ষের কার্যকরী পরিষদের জন্য ২৭টি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি সম্পাদকীয় পদ ও ১৫টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদ রয়েছে। ৬৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ বারের নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় দুটি প্যানেলের মধ্যে। একটি প্যানেল আওয়ামী লীগ ও তাদের সমমনা সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাদা প্যানেল অপরটি বিএনপি ও তাদের সমমনাদের সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের নীল প্যানেল। সাদা প্যানেলের হয়ে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান মানিক এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আয়ুবুর রহমান নির্বাচন করছেন। নীল প্যানেলের হয়ে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. খোরশেদ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম খান বাচ্চু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।সাদা প্যানেলের অপর প্রার্থীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি পদে আবু বকর ফরহাদ, ট্রেজারার পদে মো. হাসিবুর রহমান দিদার, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুস সালাম খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে আলী আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে লাকী আক্তার ফ্লোরা, দফতর সম্পাদক পদে আব্দুল হাই মামুন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে প্রহলাদ চন্দ্র সাহা পলাশ এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. বাহারুল আলম বাহার।নীল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আফরোজা বেগম শেলী, সহ-সভাপতি পদে কাজী মো. আব্দুল বারিক, ট্রেজারার পদে আবু বক্কর সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সারোয়ার কায়ছার রাহাত, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে মো. আবুল কালাম আজাদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাহনাজ বেগম শিরীন, দফতর সম্পাদক পদে মো. আফানুর রহমান রুবেল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে মো. শফিকুল ইসলাম এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোহাম্মাদ শাখাওয়াত উল্লাহ চৌধুরী।সাদা প্যানেলের হয়ে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫ জন। তারা হলেন- এডভোকেট আমিনুল আহসান মাসুম, ইমারত হোসেন বাচ্চু, হাজেরা বেগম আজরা, মোহাম্মাদ আবু সাঈদ সিদ্দিক টিপু, নাসিম জাহান রুবি, নুরজাহান আক্তার পারভীন, মরিয়ম বেগম তুলি, মো. আলাউদ্দিন খান, সাহিদা পারভীন নদী, মো. বিল্লাল হোসেন লিজন, মোহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম তালুকদার, তাইবুর রহমান তুহিন, মোহাম্মাদ সাইফুজ্জামান টিপু ও মোহাম্মাদ নূর হোসেইন। সদস্য পদে নীল প্যানেলে লড়ছেন- এডভোকেট আজমেরী আহমেদ চৈতি, মো. আব্দুল মোমেন খান মামুন, মো. আনোয়ার পারভেজ কাঞ্চন, মো. শহিদুল্লাহ, মো. শাহীন হোসেন, মো. শওকত উল্লাহ, মোহাম্মাদ আবুল কাশেম, মোহাম্মাদ রোকনুজ্জামান সুজা, মোস্তফা সারওয়ার মুরাদ, মোস্তরী আক্তার নুপুর, মোসা. জেবুননেছা খানম জীবন, পান্না চৌধুরী, শাহনাজ পারভীন, সৈয়দ আকতারুল ইসলাম আক্তার এবং সৈয়দ মোহাম্মাদ মাইনুল হোসেইন অপু।এফএইচ/এসকেডি
Advertisement