আইন-আদালত

গোলাপসহ তিন আসামিকে নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের আবুল খায়ের গোলাপ মিয়াসহ (৬৬) তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এবার তাদের বিষয়ে শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন।

Advertisement

যুক্তিতর্কের প্রাথমিক উপস্থাপন শেষে এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১৬ মার্চ পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মামলার অন্য দুই আসামি হলেন মো. জামাল উদ্দিন আহম্মদ ওরফে মো. জামাল উদ্দিন (৬৫) ও শেখ গিয়াস উদ্দীন আহমদ (৭০)।

আরও পড়ুন: ৬ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর

Advertisement

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রেজিয়া সুলতানা চমন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: নেত্রকোনার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর মো. সাহিদুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

Advertisement

এর আগে ২০১৮ সালের ১৩ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এই তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঁচটি অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে ফরমাল চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।

আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি ইদ্রিস আলীর মৃত্যু

গত ৮ মার্চ তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আসামি আবুল খায়ের গোলাপ মিয়া হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় গজানাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। অন্য আসামি শেখ গিয়াস উদ্দীন আহমদ পলাতক।

তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় নবীগঞ্জে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জনকে হত্যা, ছয় নারীকে ধর্ষণ, ২৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ৩০ জনকে অপহরণ এবং নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম