খেলাধুলা

পঞ্চমবারেও হ্যাটট্রিকটা হলো না মুস্তাফিজের

ইনিংসের অষ্টম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভারের বল করতে এলেন মুস্তাফিজ। আগের ওভারেই নিজের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়েছিলেন। ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নেয়ার পরও টিভি আম্পায়ার রিপ্লে করে দেখলেন পড়ে যাওয়ার পর বল সমেত মুস্তাফিজের হাত মাটি ছুঁয়েছে। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই মোহাম্মদ শেহজাদ তার বলে বিভ্রান্ত হলেন। ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন। নিজের বলে ক্যাচটা ধরলেন মুস্তাফিজই।এবার মাঠে নামলেন স্বপ্নিল পাতিল। শ্রীলংকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছিলেন তিনি। কিন্তু মুস্তাফিজকে পড়তে পারাটা যেখানে বিশ্বের বড় ব্যাটসম্যানের পক্ষে বুঝে ওঠাটা খুব কঠিন, সেখানে পাতিল কোন ছার। হলোও তাই। বুঝতে না পেরে ব্যাটের কানায় লাগালেন। ক্যাচ উঠে গেলো আকাশে। ধরলেন মাশরাফি।পরপর দুই বলে দুই উইকেট; তৃতীয় বলে উইকেট পেলেই সেই বহু অরাধ্য হ্যাটট্রিক। কিন্তু না এবারও পারলেন না মুস্তাফিজ। তৃতীয় বলটি তিনি করলেন অফকাটার। খোঁচা দিতে চেয়েছিলেন আমজাদ জাভেদ। কিন্তু দুর্ভাগ্য মুস্তাফিজের। ব্যাটে বল লাগলো না। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এ নিয়ে পাঁচবার হ্যাটট্রিকের দুয়ার থেকে খালি হাতে ফিরে এলেন বাংলাদেশের পেস সেনসেশন মুস্তাফিজ। হ্যাটিট্রকের  এ রকম সম্ভাবনার এর আগেও চারবার দাঁড়িয়েছিলেন মুস্তাফিজুর; কিন্তু একবারও হলো না হ্যাটট্রিকের স্বাদ পাওয়া। অল্প দিনের ক্যারিয়ারে এর মধ্যেই অনেক কিছু পেয়ে গেছেন। হ্যাটট্রিকটা কি পাওয়া হবে না তার?এর আগে সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজ এল্টন চিগুম্বুরাকে বোল্ড করার পর উড়িয়ে দেন লুক জঙ্গেইয়ের মিডল স্ট্যাম্প। কিন্তু চতুর্থবারেরমত হ্যাটট্রিকটা হলো না তার। শন উইলিয়ামসকে তৃতীয় বলে বড় নিরীহ একটা ডেলিভারি দিলেন মুস্তাফিজ। সেটাতে উইকেট পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই জাগলো না।মুস্তাফিজের ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিকের সুযোগ এসেছিল অভিষেক ওয়ানডেতেই। ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে সুরেশ রায়না ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা; কিন্তু পরের বলে ভুবেনেশ্বর কুমার তা হতে দেননি।দ্বিতীয় ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও অক্ষর প্যাটেলকে পরপর দুই বলে শিকার করে আবার হ্যাটট্রিক ছোঁয়ার খুব কাছে চলে আসেন তিনি; কিন্তু এবারও হয়নি। এবার অশ্বিন এসে হতাশ করেন তাকে।এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে একওভার তিন উইকেট নেন তিনি। ওই ওভারের পরপর দুই বলে শিকার করেন হাশিম আমলা ও জেপি ডুমিনিকে। পরের বলে কুইন্টন ডি কক হতাশ করেন মুস্তাফিজকে। ওয়ানডে এবং টেস্টের পর দু’বার টি-টোয়েন্টিতে সম্ভাবনা জাগিয়েও পেলেন না বহু কাংখিত হ্যাটট্রিকটির দেখা। অনেক বোলারের পুরো ক্যারিয়ারেই এমন সুযোগ হয়তো দুই একবার এসেছে। মুস্তাফিজের পাঁচমাসে এলো মাত্র ১০ মাসে; কিন্তু একবারও সত্যি সত্যি ধরা গেলো না হ্যাটট্রিক নামের রহস্যকে। মুস্তাফিজের ক্যারিয়ারে এটাই বোধহয় একমাত্র আক্ষেপ!আইএইচএস/এসকেডি

Advertisement