দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর মোহাম্মদ মিঠুন মিলে দারুন সূচনা। এরপর মাঝে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়। শেষ ওভারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ঝড়। অবশেষে আরব আমিরাতের সামনে ১৩৪ রানের লক্ষ্য বেধে দিলো বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দু’ওপেনার মিলে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলকে; কিন্তু ৪৬ রানের মাথায় এই জুটিতে ভাঙন ধরার পরই পাল্টে গেলো দৃশ্যপট। দ্রুত চারটি উইকেট হারিয়ে বলতে গেলে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর মোহাম্মদ মিঠুন ছাড়াও ৮৩ রানের মাথায় ফিরে গেছেন সাব্বির রহমান এবং মুশফিকুর রহিম।৮৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দায়িত্ব বর্তেছিল সাকিব আল হাসান আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ওপর। কিন্তু ব্যর্থতার ঘূর্ণাবর্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। মাত্র ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে গেলেন তিনিও। দলীয় রান তখন ১১২। সাকিব আউট হয়ে যাওয়ার পর মাঠে নামেন নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু পরের বলেই তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন সোহান, কোন রান না করেই।এরপর মাঠে নামেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিন বল মোকাবেলা করেছিলেন তিনি। কিন্তু কোন রান না নিয়েই ক্যাচ তুলে দিলেন লং অফে। ১১৪ রানের মাথায় সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান তিনিও। মাশরাফি আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন তাসকিন আহমেদ। যদিও শেষ বলের আগে আর উইকেট হারাতে হয়নি বাংলাদেশকে। তবে মাহমুদুল্লাহ ঝড়ে শেষ ওভারে ১৭ রান তুলতে পেরেছিলো বাংলাদেশ। এর আগে টস হেরে ব্যাট করার আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। টাইগারদের ইনিংস ওপেন করতে নামলেন সৌম্য সরকার এবং মোহাম্মদ মিঠুন। ভারতের বিপক্ষে ওপেনিং জুটি মোটেও সফল হয়নি। এ কারণে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচটি তাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের। সুতরাং, দেখে-শুনেই খেলার চেষ্টা সৌম্য-মিঠুনের। প্রথম ওভার থেকে মাত্র ১ রান নিতে পেরেছেন দুই ওপেনার। হাত খোলা শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ওভারে। দুই ওপেনার মিলে ধীরে ধীরে আরব আমিরাতের বোলারদের ওপর চেপে বসতে শুরু করেন। একের পর এক বলকে পাঠাতে শুরু করেন বাউন্ডারির বাইরে। তবে দুর্ভাগ্য বলতে হবে আরব আমিরাতের। সৌভাগ্য বাংলাদেশের। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আমজাদ জাভেদের বলে দু’বার ক্যাচ তুলেছিলেন দুই ওপেনার। কিন্তু সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করতে পারেনি আমিরাতের ফিল্ডাররা। ফলে ওই যাত্রায় বেঁচে যান সৌম্য এবং মিঠুন।তবে আমিরাতের ফিল্ডাররা ক্যাচ মিস করাতে সম্ভবত সাহস বেড়ে যায় সৌম্য সরকারের। ফিল্ডিংয়ের পজিশন না দেখেই ব্যাট চালানো শুরু করেন তারা। ফল যা হওয়ার তাই হলো। ৬ষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ শেহজাদের বলে আমজাদ জাভেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন সৌম্য। আউট হওয়ার আগে ভালো ঝড় তুলেছিলেন তিনি। ১৪ বলে খেলেছেন ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস। তাতে বাউন্ডারি ২টি এবং ছক্কা একটি। সৌম্য আউট হয়ে যাওয়ার পর মিঠুনের সঙ্গে জুটি বাধতে মাঠে নামেন সাব্বির রহমান। গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি। কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাস দেখাতে গিয়ে মিডউইকেটেই ক্যাচ তুলে দিলেন তিনি। ১২ বলে ৬ রান করে আউট হয়ে গেলেন সাব্বির। মোহাম্মদ মিঠুন আউট হয়েছেন একেবারের বাজেভাবে। বলতে গেলে বোকামির দণ্ডই দিলেন তিনি। ১২তম ওভারে রোহান মোস্তফার ৪র্থ বলটি ঠেকালেন তিনি। কিন্তু বলকে স্ট্যাম্পের গোড়ায় রেখে সামনে চলে আসেন। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করলো না আরব আমিরাতের উইকেটরক্ষক স্বপ্নিল পাতিল। পরের ওভারেই উইকেট বিলিয়ে আসলেন মুশফিকুর রহিম। মোহাম্মদ নাভেদের বলে শট খেলতে গিয়ে লাগালেন ব্যাটের কানায়। সেটাই শেষ পর্যন্ত গিয়ে জমা পড়লো উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। ৮ বলে মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে গেলেন মুশফিক।আইএইচএস/এমএস
Advertisement