লাইফস্টাইল

প্রস্রাবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হতে পারে কঠিন রোগের লক্ষণ

প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়ার বিষয়কে বেশিরভাগ মানুষই তেমন গুরত্ব দেন না। কম পানি পান করার কারণেই এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রস্রাবের ঝাঁঝালো গন্ধ মূলত অ্যামোনিয়ার কারণে হয়।

Advertisement

তবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব কিন্তু শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। ঠিক কোন কোন রোগ শরীরে বাসা বাধলে প্রস্রাবে মাত্রাতিরিক্ত দুর্গন্ধ হয় তা জেনে নিন-

আরও পড়ুন: পাইলস কেন হয়, সমাধানের উপায় কী?

মূত্রনালির সংক্রমণ

Advertisement

ব্যাকটেরিয়ার কারণে মূলত প্রস্রাবে বেশি দুর্গন্ধ হয়। তাই প্রস্রাব থেকে দুর্গন্ধ বের হলে সতর্ক হওয়া জরুরি। তবে শুধু মূত্রের দুর্গন্ধই নয়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, বারবার প্রস্রাবের তাগিদ পাওয়ার মতো একাধিক লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

ডায়াবেটিস

রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে প্রস্রাবে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিকরা অন্যদের মতো চিনি হজম করতে পারে না। ফলে তাদের প্রস্রাব থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। একই সঙ্গে ডায়াবেটিস হলে ঘন ঘন মূত্রত্যাগের প্রবণতাও বাড়ে।

আরু পড়ুন: মানিব্যাগ প্যান্টের পেছনে রাখা যে কারণে বিপজ্জনক

Advertisement

সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন

প্রস্রাবে গন্ধ হওয়ার আরও একটি কারণ হলো সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন। এই সংক্রমণ প্রস্রাব ও মূত্রাশয়ে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কখনো কখনো এই সংক্রমণের কারণে মূত্রনালিতে প্রদাহের সৃষ্টি হয়, যা প্রস্রাবের গন্ধে পরিবর্তন আনতে পারে। তবে যৌনতার মাধ্যমে পরিবাহিত হওয়া ছাড়াও ইউটিআইয়ের কারণে প্রস্রাব দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে।

আরও পড়ুন: প্রেমে পড়লে মানুষের বুদ্ধি কমে যায়, বলছে গবেষণা

কিডনিতে পাথর

কিডনিতে পাথর জমলেও প্রস্রাব থেকে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ বের হতে পারে। লবণ ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ জমা হয়ে পাথর তৈরি করে। এই জমে থাকা উপাদান দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ হতে পারে।

আরও পড়ুন: হাত-পায়ে ঝি ঝি ধরার গুরুতর ৫ কারণ

ছত্রাক সংক্রমণ

ছত্রাক হলো একটি অণুজীব, যা প্রাকৃতিকভাবে যোনি’সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে বাস করে। তবে অতিরিক্ত ছত্রাক যোনিপথে ইস্ট ইনফেকশনের জন্য দায়ী।

নারীদের মূত্রনালিতে ছত্রাক সংক্রমণের কারণে চুলকানি, লালভাব, যোনি ফুলে যাওয়া ও ঘন ঘন সাদা স্রাবের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

সূত্র: মায়োক্লিনিক/হেলথ

জেএমএস/এমএস