জাতীয়

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ৪ দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত চার দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত।

Advertisement

মঙ্গলবার (৩১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তারা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে তাদের এ সফরের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশও এ আস্থাভাজন দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

এ সময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, করোনা পরিস্থিতি ও রুশ-ইউক্রেন সংকটসহ অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও বহুমুখী সহযোগিতার বিষয়ে মতবিনিময় করেন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতরা। তাদের মধ্যে চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে গম, জ্বালানি ও ভোজ্যতেলের সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হওয়ায় যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধানে উপায় ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।

Advertisement

এ সময় কিউবার মহান বিপ্লবী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোকে স্মরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যিনি (ফিদেল) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বাংলাদেশ ও কিউবার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিউবার রাষ্ট্রদূত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ড. মোমেনের কাছে অভিনন্দনপত্র হস্তান্তর করেন।

ড. মোমেন ২০২৩ সালের ৭ থেকে ৯ মার্চ মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো ইব্রার্ডের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফরের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।

রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাপারে বলতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন। নিজ দেশে এরা ধর্ষণ, সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে আর এ ধরনের শরণার্থীদের চাপ বহন করা সম্ভব নয়। কারণ, আমাদের সম্পদ ও স্থানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

রোহিঙ্গারা যেন দ্রুত তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে ফিরে যেতে পারেন। সে ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতদের নিজ নিজ দেশের সরকার যেন সক্রিয় ভূমিকা পালন করে- আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Advertisement

এমএএইচ/এমএস