আন্তর্জাতিক

পরবর্তী নির্বাচনের আগে আজ বিজেপি সরকারের শেষ বাজেট

আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। এ বছর তাই লোকসভা ভোটের আগে শেষ বছর। শুধু তাই নয়। এ বছরেই কর্নাটক, তেলঙ্গানা থেকে শুরু করে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, রাজস্থানের মতো ন’টি রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরে ভোট হল দশটি নির্বাচনী পরীক্ষা।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার অশ্বমেধের ঘোড়ার দৌড় অব্যাহত রাখতে যে এ বারের বাজেটে ভোটারদের মন জয়ে নানা আতশবাজি সাজিয়ে রাখবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মধ্যবিত্তের জন্য কর ছাড়ে কিছুটা সুরাহা থাকতে পারে। চাষিদের জন্য পিএম-কিসান প্রকল্পে অনুদান ছয় হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৮ হাজার টাকা হতে পারে।

তাছাড়া নারী, গরিব, অনগ্রসর, দলিত, জনজাতির ভোটারদের জন্যও চমক থাকতে পারে। গ্রামে একশো দিনের কাজের মতো শহরেও রোজগার গ্যারান্টি প্রকল্প চালু করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর যাত্রায় রাহুল গান্ধী যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের মতো বাস্তব সমস্যা নিয়ে বারবার মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন, তাতে মূল্যবৃদ্ধি-বেকারত্বের ক্ষতে প্রলেপ দিতে কিছু জনমোহিনী পদক্ষেপ দরকার বলে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মনে হতেই পারে।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যখন লোকসভায় বাজেট পেশ করবেন, তখন তার সামনে অর্থনীতির দুই প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো আর্থিক বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য রেখে দু’দিকই সামাল দেওয়া।

Advertisement

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ঠিকই। কিন্তু আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। ধেয়ে আসছে মূল্যবৃদ্ধির ঝোড়ো হাওয়া। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রীকে বাজেটে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে যথেষ্ট খরচ করতে হবে। যাতে কর্মসংস্থানও তৈরি হয়।

এদিকে এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ভারতের প্রবৃদ্ধি আগামী অর্থবছর কমতে যাচ্ছে। এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরে দেশটির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ছয় থেকে ছয় দশমিক আট শতাংশ। তবে এই পরিসংখ্যান নির্ভর করছে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়গুলোর ওপর। ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মালা সিতারাম সংসদে এ সম্পর্কিত সমীক্ষার তথ্য উপস্থাপন করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি এই পূর্বাভাস বাস্তাব হয় তাহলে তা হবে গত তিন বছরের মধ্যে ধীর বা কম। দিল্লি এই বছর সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করছে। তাছাড়া গত অর্থ বছরে দেশটির প্রবৃদ্ধি ছিল আট দশমিক সাত শতাংশ।

এমএসএম

Advertisement