দেশে নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই)।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ফুড সেফটি অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি, কাউন্টারফিটিং অ্যান্ড অ্যাডাল্টারেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
আমিন হেলালী বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে অনেক দূর এগিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ অবদানের কারণেই দেশের এ অগ্রগতি। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সবকিছুর পরেও নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল ঠিক রাখতে হবে আমাদের। আর এজন্য সবপর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা মানেই শুধু হোটেল রেস্টুরেন্ট নয়, চাল, গম, তেল ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত এখানে সম্পৃক্ত। নিয়মমাফিক ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে সরকারকে নীতিমালা প্রণয়নে সহযোগিতা করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
Advertisement
ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গে একমত হয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা পরিচালনার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে লাইসেন্সপ্রাপ্তিসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুর দাবি জানান।
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও এফবিসিসিআই’র সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল করিম রেজনু বলেন, বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে। এ অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্যের নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।
বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, দেশে নিরাপদ খাদ্য ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজ করতে হবে।
বৈঠকে এফবিসিসিআই’র পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভরসা, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, আবু মোতালেব, হাফেজ হারুন, ড. নাদিয়া বিনতে আমিন, আক্কাস মাহমুদ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. আবদুর রশিদ, অন্যান্য সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
Advertisement
ইএআর/এমএএইচ/এমএস