পাতাল রেলপথ নির্মাণে জনগণের ভোগান্তি হবে না। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পাতাল মেট্রোরেলপথ নির্মাণ করা হবে। পরে মাটির নিচে যে কাজ চলতে থাকবে, সেটি ওপর থেকে আর অনুমান করা যাবে না। আবার টিভিএম মেশিন দিয়ে যখন টানেল কাটা হবে, তখন এটিও ওপর থেকে কোনোভাবে বোঝা যাবে না।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক।
তিনি আরও বলেন, পাতাল স্টেশনগুলো আমরা ওপেন কাট পদ্ধতিতে করব। রাস্তার অর্ধেক অংশ প্রথমে খনন করা হবে। ওই অংশে আমাদের সব যন্ত্রপাতি নিচে নামানো হবে এবং তার ওপর দিয়ে স্টিলের পাত দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে যান চলাচলের জন্য।
‘ওই পাতের ওপর দিয়ে ৪০ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এই অংশ গাড়ি চলার জন্য খুলে দেওয়ার পর আমরা রাস্তার অপর অংশে কাটব এবং সেখানে একইভাবে কাজ করব। এই কাজের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাস সময় লাগবে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
Advertisement
তিনি বলেন, এমআরটি লাইন-৬-এ সাড়ে ৩ মিনিট পরপর ট্রেন চলতে পারে। এটাকে আমরা আরও কমিয়ে আনতে পারব। অন্যদিকে এমআরটি লাইন-১ এ ১০০ সেকেন্ড দিয়ে শুরু করব। এটাকে হেডওয়ে বলে। ১০০ সেকেন্ডের মধ্যে একটার পর একটা ট্রেন আসবে, এটি আর কমানোর সুযোগ নেই।
‘আমরা ৬টি কোচ দিয়ে এমআরটি লাইন-৬ শুরু করেছি এবং আরও দুটি কোচ সংযোজনের সুযোগ রেখেছি। অর্থাৎ এটি ৮টিতে উন্নীত করা যাবে। এমআরটি লাইন-১ শুরুই হবে ৮টি কোচ দিয়ে। এখানে কোচ বৃদ্ধি করার বিষয়টি আর প্রয়োজন হচ্ছে না। আন্তর্জাতিকভাবে ৮টি কোচ দিয়ে শুরু করে, আমরাও ৮টি কোচ দিয়ে শুরু করব।’
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন এমআরটি লাইন-৬ এর স্টেশনগুলো রাস্তার ওপরে হয়েছে। এমআরটি লাইন-১ এর স্টেশনগুলো রাস্তার নিচে হবে। এটা মাটির ওপরে তিনতলা হয়েছে, ওটা মাটির নিচে তিনতলা হবে। জনসাধারণের যেন ভোগান্তি না হয় সেজন্য আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এখানে ব্যবহার করছি।
এমওএস/এমআরএম
Advertisement