ক্যাম্পাস

রেজিস্ট্রারের অব্যাহতি দাবিতে কর্মচারীদের কর্মবিরতি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

Advertisement

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে দাবি আদায়ে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটামসহ স্মারকলিপি দেন তারা।

অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা বৈষম্যমূলক প্রশাসন চাই না। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে সরিয়ে সেখানে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের যোগ্য ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিতে হবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন পলাশ বলেন, দীর্ঘদিন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমিতি অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের দাবি, মাস্টার রোল ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও সদ্য স্থায়ী করা কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন নিশ্চিত করতে হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, এক মাসের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নয়ন নীতিমালা সংশোধন ও তিনটি আপগ্রেডেশনসহ টেকনিক্যাল-নন টেকনিক্যাল পদে নীতিমালা সংশোধন করতে হবে। চাকরি স্থায়ীকরণ ও অতীত চাকরিকাল গণনাসহ বিভিন্ন কমিটিতে কর্মকর্তাদের রাখতে হবে। সহকারী রেজিস্ট্রারের পদ সপ্তম থেকে ষষ্ঠ এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রারের পদ পঞ্চম থেকে চতুর্থ গ্রেডে বাস্তবায়ন করতে হবে।

অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এসব দাবি বাস্তবায়নে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে লাগাতার কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ‘নিয়োগ বাণিজ্য’ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে প্রশাসনকে চাপে রাখতে কর্মচারীদের উসকানি দিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার অনুরোধ জানান।

Advertisement

বক্তব্য জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. দিদার উল আলমকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে একজন জানান, উপাচার্য মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন। পরে কথা বলবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মো. বাহাদুর বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমিতি হোক সেটা আমরাও চাই। তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে কোনো অযৌক্তিক দাবি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/এমএস