মধ্যযুগের সিরিয়াল কিলার জ্যাক দ্য রিপারের কথা আজও ভুলতে পারেনি বিশ্ব। এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়েছেন তিনি। কেউ কোনো দিন তাকে দেখেওনি। হয়তো সাধারণ মানুষের ভিড়েই মিশে ছিলেন ইতিহাসের এই কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার। বেছে বেছে যৌনকর্মীদের হত্যা করতেন তিনি।
Advertisement
তবে ইতিহাসে যত সিরিয়াল কিলার আছে সবার রয়েছে আলাদা হত্যার ধরন। কেউ হত্যা করতেন নারীদের, কেউ শিশু আবার কেউ মাতালদের। তাদের হিংস্রতা, বর্বরতা এবং নির্মমতার গল্প এখনো ভয় পাইয়ে দেয় সাধারণ মানুষকে। একেক জনের হত্যার কারণ ছিল একেক রকম। সিরিয়াল কিলারের তালিকায় বাংলার এক গৃহবধূও আছেন। যিনি বেছে বেছে হত্যা করতেন গৃহিণীদের। মূলত গয়নার লোভে অসংখ্য নারীকে হত্যা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মানুষ খুন করে মাংস দিয়ে বার্গার বানিয়ে খেতেন তিনি
ইতিহাসে নরখাদক সিরিয়াল কিলারের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। যারা হত্যা করতেন শুধু মানুষের মাংস খাওয়ার জন্য। মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আলাদা আলাদা রেসিপি করে খেতেন। সিরিয়াল কিলারদের তালিকায় থাকা জো মেথেনি তার শিকারদের হত্যার পর তাদের মাংস দিয়ে বার্গার বানিয়ে খেতেন। ভাবতে নিশ্চয় আপনার শরীর বেয়ে নেমে যাচ্ছে হিমশীতল বাতাস। এমনকি কেজি দরে বাজারে সেই মাংস বিক্রিও করতেন অন্যদের কাছে। যদিও শুকরের মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে দিতেন সেগুলো। হ্যাঁ, এমনটাই করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিরিয়াল কিলার।
Advertisement
শুধু জো মেথেনি নয়, জার্মানির কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার পিটার নিয়ার্স খেতেন নবজাতক শিশুদের। পিটার নিয়ার্স জার্মানির নুরেমবার্গ শহরের বাসিন্দা ছিলেন। তার জন্ম ১৫৪০ সালে জার্মানিতে। পেশায় ছিলেন একজন ডাকাত। এজন্য আশেপাশের মানুষ তাকে ভয় পেতেন খুব। তার সঙ্গে কেউই মিশতেন না কখনো। সবাই জানতেন পিটার মানুষ হত্যা করে নির্দ্ধিধায়। তবে মানুষের মাংস খাওয়ার ব্যাপারটি কেউ কখনো চিন্তাই করতে পারেননি।
ডাকাতির পাশাপাশি পিটার কালোজাদুতেও ছিল সিদ্ধ হস্ত। সেজন্য প্রতিবেশীদের ভয় ছিল আরও বেশি। কেউ তাকে খুব একটা পাত্তা দিত না। পিটার ৫৪৪টিরও বেশি মানুষকে হত্যা করেন। ২৪টি নবজাতক হত্যা করে খেয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে এই শিশুদের বেশিরভাগই ছিল ভ্রূণ অবস্থায়। যাদের তিনি কালোজাদু করতে ব্যবহার করতেন।
আরও পড়ুন: রূপ ধরে রাখতে কুমারী মেয়ের রক্ত-মাংস খেতেন যে নারী
পিটারের টার্গেট ছিল গর্ভবতী নারীরা। তাদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে কখনোবা টাকার বিনিময়ে গর্ভপাত করাতেন। এরপর সেসব ভ্রূণ নিয়ে কালোজাদু করতেন এবং ভ্রূণের কিছু কিছু অংশ খেতেন। অমর হতে খেতেন শিশুদের হৃদপিণ্ড। শিশুদের মাংস এবং চর্বি দিয়ে মোমবাতি তৈরি করে ব্যবহার করতেন কালোজাদু করার সময়। এমনকি এসব মোমবাতি তার অনুসারীদেরও দিতেন তিনি।
Advertisement
অবশেষে ১৫৮১ সালে গ্রেফতার হন তিনি। বন্দি হওয়ার পর সব খুনের কথা স্বীকার করেন। তাকে টানা তিন দিন নির্যাতন করা হয়েছিল কারাগারে। অবশেষে ১৫৮১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। জনসম্মুখে তার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র: অল দ্যট ইন্টেরেস্টিং
কেএসকে/এএসএম