‘পপি’ বাংলাদেশে একটি নিষিদ্ধ গাছ বলে পরিচিত। পপি ফলের রস থেকে আফিম তৈরি হয়।
Advertisement
দেশে পপি ফুলের চাষ নিষিদ্ধ হলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে দেখা মিলেছে এ ফুলের গাছ।
সরেজমিন গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের মূল ফটকের সামনের ফুল বাগানে ও হলের ভেতরের বাগানে ১৫-১৬টি পপি ফুলের গাছ পাওয়া গেছে। বাগানের অন্য ফুল গাছের আড়ালে বেড়ে উঠছে এ গাছ। বেশিরভাগ গাছেই ফুটেছে লাল ও সাদা রঙের ফুল। কিছু গাছে ফল ধরতেও দেখা যায়।
হলগুলোতে দায়িত্বরত মালিরা বলছেন, অনেক আগে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বাগানে পপি গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো তুলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। হয়তো সেই গাছ থেকে বীজ পড়ে ফের এগুলো জন্ম নিয়েছে। তারা নতুন করে কোনো গাছ লাগাননি।
Advertisement
বঙ্গবন্ধু হলের শেখ মুজিবুর রহমান হলের মালি ভাসমত বলেন, বাগানে বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ রয়েছে। এবছরও আমরা নতুন নতুন অনেক ফুল গাছ লাগিয়েছি। কিন্তু পপি গাছ লাগাইনি। এসব গাছ অনেক আগে লাগানো হলেও প্রশাসনের নির্দেশে সেগুলো তুলে ফেলা হয়েছিল। এখানে কীভাবে গাছগুলো জন্মেছে তা আমরা জানি না। তবে নির্দেশনা পেলে পপি ফুল তুলে ফেলবো।
জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শায়খুল ইসলাম মামুন জিয়াদ জাগো নিউজকে বলেন, পপি ফুলের গাছ আমার হলে জন্মেছে বিষয়টি জানা ছিল না। হলে কর্তব্যরত মালির সঙ্গে কথা বলে দেখছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশে সব ধরনের ‘পপি’ গাছ লাগানো নিষেধ। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বাগানে লাগানোও বৈধ নয়। তাই এ পপি গাছ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমি এখনই বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলে তা তুলে ফেলার ব্যবস্থা করছি।
মনির হোসেন মাহিন/এমআরআর/জিকেএস
Advertisement