দেশজুড়ে

মাইকেল মধুসূদন দত্ত পদক পেলেন ড. কুদরত-ই-হুদা

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন পদক ২০২৩ পেয়েছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, গবেষক ও শিক্ষক ড. কুদরত-ই-হুদা।

Advertisement

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে মধুমঞ্চে প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম তার হাতে এই পদক তুলে দেন। যশোরের জেলা প্রশাসক তামিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে মধুমঞ্চে আলোচনা ও এ পদক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলা নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনিই প্রথম বাংলা কবিতাকে আধুনিকতায় অভিষিক্ত করেছেন। তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। তার হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য পেয়েছে নবরূপ, হয়েছে সমৃদ্ধ ও ঐশ্বর্যমণ্ডিত। তিনি একাধারে বাংলা সাহিত্যে প্রথম মহাকাব্যের রচয়িতা এবং পত্রকাব্য, সনেট, ট্র্যাজেডিসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার অমর সৃষ্টি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য। এই কাব্যের মাধ্যমে তিনি মহাকবির মর্যাদা লাভ করেন।

আরও পড়ুন: যশোরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর কান ফাটালেন প্রধান শিক্ষক

Advertisement

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বৃহত্তর যশোর জেলার মুক্তিযুদ্ধকালীন বিএলএফ’র উপপ্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম, সরকারি প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন কাদের, যশোর সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. সবুজ শামীম আহসান, মধুসূদন একাডেমির পরিচালক কবি খন্দকার খসরু পারভেজ, মনিরামপুর সম্মিলনী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শফিউর রহমান ও সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার কাজী নাজির হাসান ও উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুণ্ডু। আলোচনা সভার পূর্বে ও পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

মাইকেল মধুসূদন পদকপ্রাপ্ত গবেষক ও শিক্ষক ড. কুদরত-ই-হুদা বলেন, মহাকবি সম্পর্কে বেশি বেশি অধ্যয়ন ও চর্চা দরকার। এ জাতীয় অনুষ্ঠান সেই চর্চাকে উৎসাহিত করে।

আরও পড়ুন: স্বর্ণপদক পেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩ শিক্ষার্থী

Advertisement

ড. কুদরত-ই-হুদা ফরিদপুর জেলার আলফডাঙা উপজেলার ব্যাংকেরচর গ্রামে ১৯৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কবির এম এ হক এবং তার মায়ের নাম মহুয়া হক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তিনি বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলার সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি গবেষণাধর্মী সাহিত্য ক্যাটাগরিতে এ পদক পেয়েছেন।

মিলন রহমান/জেএস/জিকেএস