অর্থনীতি

সপ্তাহে নেতিবাচক ধারায় শেয়ারবাজার

আবারো নেতিবাচক ধারায় দেশের শেয়ারবাজার। গেল সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের সূচকের পাশাপাশি কমেছে টাকার অংকের লেনদেনের পরিমাণ। হ্রাস পেয়েছে পিই রেশিও ও বাজার মূলধনও। একইসঙ্গে দর হারিয়েছে লেনদেন হওয়া বেশিরবাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের। সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহে শেষে কমেছে ২০ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৪ শতাংশ, ডিএস৩০ সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর শরীয়াহ সূচক বা ডিএসইএস কমেছে ১০ পয়েন্ট বা দশমিক ৯০ শতাংশ।গেল সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৮৪ কোটি ৮৬ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৬ টাকার। যা এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৬১ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ১১ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২৪৬ কোটি ১৬ লাখ ৮ হাজার ২৬৭ টাকার। তবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বেড়েছে টার্নওভারের পরিমাণ। গড়ে প্রতিদিন টার্নওভার দাঁড়িয়েছে হয়েছে ৪৯৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৪৪৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে টার্নওভার বেড়েছে ৪৭ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ৪৬ শাতংশ। সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ২৮ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৯০ শতাংশ।বিদায়ী সপ্তাহে হ্রাস পেয়েছে লেনদেন হওয়া বেশিভাগ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর। ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ১১০টির, কমেছে ১৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির। আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার।গত সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৩ কোটি ৯২ লাখ ২ হাজার টাকায়। আর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমিক ৫৮ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।এসআই/আরএস/পিআর

Advertisement