নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫০ থেকে ৭০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করতে পারে কমিশন। এ ক্ষেত্রে হাতে থাকা ইভিএম মেশিনের কতটি ব্যবহার উপযোগী তার ওপর নির্ভর করবে সিদ্ধান্ত।
Advertisement
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান তিনি।
আরও পড়ুন>> ইভিএম মূল্যায়নে ২০ লাখ টাকাও দিলো না পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
১৫০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করতে চেয়েছিল ইসি। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনে এ প্রস্তাব পাস না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের হাতে যেসব ইভিএম আছে, তা দিয়েই ভোট করবো। করবো না এটা কিন্তু বলিনি। সময় আছে তো অনেক। বর্তমানে দেখা হচ্ছে কতগুলো ইভিএম মেশিন ভালো আছে। এক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৭০টি আসন, এমন একটি ফিগার হতে পারে আমার মনে হচ্ছে যেটা।
Advertisement
আরও পড়ুন>> ইভিএম থেকে সরে আসা সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ: নুর
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক নির্বাচন কমিশন দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কিনেছিল বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) কাছ থেকে। সেই মেশিনগুলো দিয়েই গত কয়েকটি জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন, উপ-নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিছু কিুছ মেশিন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এগুলোর মধ্যে বেশকিছু ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া সংসদের নির্বাচনের জন্য কতগুলো ব্যবহার করা যাবে তাও পরীক্ষা করে দেখছে কমিশন।
আরও পড়ুন>> ইভিএম প্রকল্প বাতিল হলেও হতাশ নয় ইসি: সিইসি
সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট স্বার্থে দুই লাখ নতুন মেশিন কেনার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার নতুন একটি প্রকল্প নিতে সরকারকে প্রস্তাব করেছিল ইসি। তবে, গত ২২ জানুয়ারি আর্থিক সংকটের কারণে সেই প্রকল্প প্রস্তাবটি আপাতত প্রক্রিয়াকরণ না করার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। এক্ষেত্রে চলমান ইভিএম মেশিন দিয়েই যতটা আসনে সম্ভব ভোট করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে, কতটি আসনে এ যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে তা এখনো নির্ধারণ করতে পারেনি সংস্থাটি।
Advertisement
আরও পড়ুন>> ২ লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্প আপাতত স্থগিত
এইচএস/এমএএইচ/এএসএম