‘থিয়েটারের নতুন বার্তা বিধ্বস্ত পৃথিবীর জন্য’ স্লোগান নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে আরণ্যক নাট্যদলের ৫০ বছর উদযাপনের উৎসব জমে উঠেছে। শিল্পকলা একাডেমিতে এই উৎসব শুরু হয়েছে ২৭ জানুয়ারি থেকে। উৎসব শেষ হবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি।
Advertisement
আটদিনের উৎসবে আরণ্যকের নতুন ও পুরোনো নয়টি নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বহিরাঙ্গনের উন্মুক্ত অনুষ্ঠান। সঙ্গে সেমিনার, যন্ত্রসংগীত, আদিবাসী সংগীত, প্রকাশনা উৎসবসহ বিভিন্ন আয়োজন।
উৎসব দেখতে শিল্পকলায় উপচে পড়ছে দর্শক। উৎসবে আসা দর্শনার্থী ইয়াসিন শাফির কাছে উৎসবে আসার কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘ঢাবিতে প্রথম বর্ষে যখন পড়তাম, তখন থেকে শিল্পকলা একাডেমিতে নাটক দেখতে আসতাম। এখন চাকরি করি। সেই মায়াটা ছাড়তে পারিনি। আর তা যদি হয় আরণ্যক নাট্যদলের মতো নাট্যদলের নাটক তাহলে তো কোনো কথাই থাকে না। পুরো পরিবার নিয়ে চলে এসেছি। সবাই মিলে আজ (২৮ জানুয়ারি) নাটক দেখবো।’
আরও পড়ুন: কলকাতায় ‘মামুনুর রশীদ : থিয়েটারের পথে’র প্রকাশনা উৎসব
Advertisement
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একদল নাট্য অঙ্গনের তরুণ শিল্পী-কলাকুশলীরা এসেছেন এ উৎসবে। উৎসবে আসার কারণ প্রসঙ্গে তারা বলেন, ‘একটি নাটকের দলের এতো দীর্ঘ বয়স। তারপরও এতো সুন্দরভাবে আয়োজন করেছে। এটা আরণ্যক নাট্যদল বলে সম্ভব হয়ছে। এই দলের সাফল্য কামনা করছি।’
আরণ্যক ৫০ বছরের নাট্যচর্চায় অসংখ্য শিল্পী তৈরি করেছে। যারা এখন দেশের শোবিজ অঙ্গনে আলো ছড়াচ্ছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু, চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসান, শামীম জানান, জয়রাজ, মোমেনা, তমালিকা কর্মকারসহ অনেকে। তারা সবাই উৎসবের বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করছেন।
আরও পড়ুন: ভালোবাসায় সিক্ত হলেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ
আরণ্যক প্রধান মামুনুর রশীদ দলের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বলেন, অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আরণ্যক নাট্যদল ৫০ বছর উদযাপন করছে। কতটুকু পেরেছি আমার তা বলবো না। কিন্তু চেষ্টা করেছি আমাদের মতো করে কাজ করতে। নাটকের মধ্য দিয়ে শ্রেণিসংগ্রামের কথা বলেছি। মানুষের কথা বলেছি। আরণ্যকের সব নাটকই শ্রেণি চেতনার কথা বলে।
Advertisement
১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে নাট্যচর্চায় যাত্রা শুরু করে আরণ্যক। ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি শহীদ মুনীর চৌধুরীর ’কবর’ নাটক দিয়ে প্রথম মঞ্চে আসে তারা। সেই নাটকটির প্রথম মঞ্চায়নে অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত সুভাষ দত্ত, আলী যাকের ও ইনামুল হক। নির্দেশনা দিয়েছিলেন মামুনুর রশীদ।
এমআই/এমএমএফ/জেআইএম