জাতীয়

শান্তিরক্ষা মিশনে কঙ্গোয় গেলেন বিমানবাহিনীর ১৫৩ জন

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ১৫৩ জন সদস্য ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছেন। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তারা। কঙ্গোতে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দুটি কন্টিনজেন্টের মোট ২৫২ জন শান্তিরক্ষী প্রতিস্থাপন করছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।

Advertisement

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে শনিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আইএসপিআর জানায়, কন্টিনজেন্টের বাকি সদস্যরা আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি কঙ্গোর উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন। বিমানবাহিনীর এ কন্টিনজেন্টগুলো ইউটিলিটি এভিয়েশন ইউনিট-২০ ও এয়ার ট্রান্সপোর্ট ইউনিট-১৩ নিয়ে গঠিত। যার নেতৃতে থাকবেন এয়ার কমডোর খান মো. মাহমুদুল হক ও গ্রুপ ক্যাপটেন মোহাম্মদ মাহবুব আহমদ চৌধুরী।

বিমানবন্দর তাদের বিদায় জানান সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিকল্পনা) এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক। এ সময় তিনি বিমানবাহিনীর সদস্যদের সততা, পেশাদারত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে দেশের সুনাম বয়ে আনার আহ্বান জানান। এরপর মিশনের সাফল্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

কঙ্গোয় বিবাদমান সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারত্ব এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সে দেশের সরকার এবং আপামর জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের অর্জিত এ সুনাম ও সাফল্য অক্ষুণ্ন রেখে শান্তিরক্ষীরা ভবিষ্যতে যেন আরও উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারেন মোনাজাতে এ কামনা করা হয়।

Advertisement

এর আগে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার-এ কঙ্গোগামী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান। তিনি মিশনের সাফল্য কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যদের দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার আহ্বান জানান।

টিটি/এমএএইচ/জেআইএম