চোটের সঙ্গে লড়াই ছিল। ছিল জাতীয় দলে উত্থান-পতনের মধ্যে যাওয়া-আসা। তাসকিন আহমেদ সে সব কিছু জয় করেছেন। কঠোর পরিশ্রম করে দলে জায়গা পাকা করেছেন। শুধু জাতীয় দলে নয়, বিপিএল কিংবা ঘরোয়া আসরগুলোতেও তাসকিন নিজের সেরাটা দিয়ে নজর কাড়ছেন।
Advertisement
তাসকিনের পরিশ্রম ফল দিয়েছে। তিনি এখন যে কোনো দলে থাকা মানেই অধিনায়কের বড় ভরসা। যেমন করে তার ওপর ভরসা করছেন ঢাকা ডমিনেটর্স অধিনায়ক নাসির হোসেন।
শুধু ভরসা করাই নয়, বয়সে ছোট (তাসকিনের ২৭, নাসিরের ৩১) সতীর্থকে দেখে অনুপ্রাণিতও হতে চান নাসির। ঢাকা অধিনায়ক বলেন, ‘তাসকিন যেভাবে কামব্যাক করেছে। জাতীয় দল থেকে বের হওয়ার পর যেমন কষ্ট করেছে, আমার মনে হয় সব ক্রিকেটারেরই এই জিনিসটা ফলো করা উচিত।’
ফল না আসলে অনুশীলন আর পরিশ্রম বাড়াতে হবে, সেটার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হওয়া চাই। নাসির সেটা তাসকিনকে দেখেই শিখতে চান। তার ভাষায়, ‘আপনি যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট বা নিজে উন্নতি করতে চান, তাহলে এখন যদি দুই ঘণ্টা প্র্যাকটিস করেন, হয়তো সে জায়গায় চার ঘণ্টা অনুশীলন করতে হবে। তাহলে এটা আমার ও বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো হবে। অবশ্যই ওকে ফলো করা উচিত। ও যে কষ্ট করে ও পরিশ্রম করে তার ফল ও পাচ্ছে। জাতীয় দলেও পাচ্ছে, বিপিএলেও আল্লাহর রহমতে ভালো করছে।’
Advertisement
তাসকিনের মানসিকতাতেও অনেক পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করেন নাসির। এই বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘ও এখন যেখানে, যে পরিস্থিতিতেই খেলুক না কেন; ম্যাচের যেকোনো সিচুয়েশনই হোক না কেন, ও কখনই এই জিনিসটা অনুভব করে না যে আমরা হারতে এসেছি বা হারবো। সবসময় চেষ্টা করে দলকে জেতানোর জন্য। টিমকে সাপোর্ট করার জন্য হান্ড্রেড প্লাস পারসেন্ট এফোর্ট দেয়।’
নাসির কথা বলেছেন তার ‘ফিনিশার’ তকমা নিয়েও। এবারের বিপিএলে নিয়মিতই তার ব্যাট হাসছে। কিভাবে পারছেন? সাফল্যের রহস্য কী?
নাসির জানালেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যারা ওই জায়গাতেই ব্যাটিং করে এটা হচ্ছে তাদের বাই বর্ন বা ছোটবেলা থেকেই ওই পরিস্থিতিতে যদি আপনি খেলেন, তাহলে আপনার জন্য সহজ হবে। আপনি এখন একটা ওপেনার বা মিডল অর্ডারকে লোয়ার অর্ডার বানিয়ে দিলে তার জন্য কঠিন হবে। আমি ছোটবেলা থেকে যখনই খেলেছি, হয়তো ওরকম রোল ছিল বা নিচে ব্যাট করতাম। হয়তো এ কারণে ওই জায়গাতে সফল হয়েছি।’
বিপিএলের সিলেটপর্বে ভালো দর্শক হচ্ছে। এমনকি টিকিটের জন্য হাহাকারও দেখা যাচ্ছে। এই বিষয়টিকে ইতিবাচক মনে করছেন নাসির। তার ধারণা, যদি হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচগুলো হতো তবে সব জায়গায়ই দর্শক থাকতো।
Advertisement
নাসির বলেন, ‘কালকে কথায় কথায় বলছিলাম, এখন মনে হচ্ছে যে বিপিএল হচ্ছে। কারণ মাঠ ভর্তি দর্শক। এ জিনিসটা যদি হোম অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচ হতো। খুলনায়, রাজশাহীতে, বগুড়ায়...তাহলে দর্শক আরও বেশি হতো। তখন বিপিএলের (অবস্থা) আরও ভালো থাকতো।’
এমএমআর/জেআইএম