অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এ তথ্য জানায়। পূর্ব জেরুজালেমের সিনাগগে (ইহুদিদের উপাসনালয়ে) বন্দুকধারীর হামলায় ৭ জন নিহত হন। এ ঘটনার একদিন পরই পশ্চিম তীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করলো ইসরায়েলি বাহিনী।
Advertisement
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর জুদিয়া ও সামারিয়া বিভাগে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবাগুলো জানায়, ওই বন্দুক হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন পাঁচজন। এছাড়া আরও পাঁচজন আহত হন। এ ঘটনাকে ইসরায়েলি পুলিশ ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে দাবি করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ১০ জন নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে। নিহতদের মধ্যে ৬১ বছর বয়সী একজন নারীও রয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ২২ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে বলেও জানা যায়। আন্তঃসীমান্ত সংকটে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের বছরের পর বছর যুদ্ধের মধ্যে এটি একটি বড় ঘটনা।
Advertisement
১৯৬৭ সালের ছয়-দিনের যুদ্ধ শেষে, ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমসহ গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীর দখল করে নেয়, যা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিজের দাবি করে আসছে।
গতবছর মার্চ ও এপ্রিলে ইসরায়েলে একাধিক প্রাণঘাতী হামলার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় অভিযান শুরু হয় ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরে। বিশেষ করে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্ষমতায় বসার পর অধিকৃত পশ্চিম তীরে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের নিন্দা ও তীব্র আপত্তি উপেক্ষা করেই আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতেমার বেন-গাভিরের সফরের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। সফরে, আল আকসাকে হামাসের সম্পদ হতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন বেন গাভির।
এদিকে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনার মাঝে আগামী সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মিশর, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সফর করবেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করে। এর আগে, গত ২০ বছরের মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
Advertisement
ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থি সরকারের প্রধান হিসাবে এক মাস আগে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠক করবেন ব্লিঙ্কেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রামাল্লায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
সূত্র: রয়টার্স
এসএনআর/এএসএম