জাতীয়

শাহজালাল বিমানবন্দরের ওয়াইফাই কার্যত অচল

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের সুবিধার্থে ওয়াইফাই জোন তৈরি করা হলেও বাস্তবে তা অচল। বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের বিনামূল্যে ওয়াইফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেটে তথ্য আদান-প্রদান করার কথা থাকলেও এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।জানা গেছে, বিমানবন্দরের ভিআইপি, আগমন ও বহিঃগমন হলের অভ্যন্তরে চারটি ওয়াইফাই রাউটার বসানো হয়েছে। ফলে বিমানবন্দরের ভেতরে এবং বাইরের কিছু এলাকাও ওয়াইফাই জোনের মধ্যে পড়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র।সরেজমিনে দেখা গেছে, শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যতীত আর কোনো স্থানে ওয়াইফাই সংযোগ নেই। তাই একমাত্র ভিআইপি লাউঞ্জের যাত্রীরা ছাড়া অন্যদের ওয়াইফাই ব্যবহারের জন্য পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়।এছাড়া, ওয়াইফাইয়ের ‘পাসওয়ার্ড’ যাত্রীদের জন্য বোর্ডে টাঙানোর কথা থাকলেও তা টাঙানো হয়নি। যাত্রীদের অভিযোগ পাসওয়ার্ড টাঙানো থাকলেও সেটি লোক দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়।শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কথা হয় মিয়ানমার থেকে আসা ভিকিউ-৭১২ ফ্লাইটের যাত্রী সারোয়ার ভূইয়ার সঙ্গে। মোবাইলে ক্রেডিট না থাকায় ওয়াইফাই সংযোগ ঘটাতে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ডের খোঁজে বিমানবন্দরের বিভিন্ন ডেস্কে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি।নিরাশ সারোয়ার ভূইয়া জাগো নিউজকে জানান, কারো মধ্যে পেশাদারিত্ব দেখলাম না। সবাই যেন গৌরি সেনের চাকরি করছেন। কলকাতার দাদাদের মতো বললেন, জানিনে, ওখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, ওখানে গিয়ে অভিযোগ করুন ইত্যাদি ইত্যাদি।এ বিষয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইফতেখার জাহান জাগো নিউজকে বলেন, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ওয়াইফাই নেই এই অভিযোগ ঠিক নয়। প্রয়োজনীয় সব স্থানে ওয়াইফাই রাউটার স্থাপন করা হয়েছে। একসঙ্গে অনেকে ব্যবহার করার ফলে মাঝে মধ্যে নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। যে কারণে অনেকে হয়তো কানেক্ট হতে পারেন না।উল্লেখ্য, বিশ্বের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর সিংহভাগেই ওয়াইফাই সেবা রয়েছে। বিদেশ থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছা যাত্রীদের অনেকেরই মোবাইলে সিম সক্রিয় হতে সময় লাগে। সে কারণে বিমানবন্দরে নেমেই যোগাযোগ ও তথ্য পেতে সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।আর তাই শাহজালালে বিমানবন্দরে ওয়াইফাই সেবা নিরবিচ্ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।আরএম/এসকেডি/এসএইচএস/বিএ

Advertisement