একুশে বইমেলা

কান পাতলেই ঠুকঠাক শব্দ, জানান দিচ্ছে বইমেলা আসছে

অমর একুশে বইমেলা-২০২৩ এর পর্দা উঠতে বাকি আর মাত্র পাঁচদিন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন থেকেই বইমেলার কার্যক্রম পুরোদমে চালু করতে কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন প্রকাশনীর কর্মী ও মেলা সংশ্লিষ্টরা। দিনভর ঠুকঠাক শব্দে সরব এখন বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র।

আরও পড়ুন: কেমন হবে ২০২৩ সালের বইমেলা? 

সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলার উদ্ধোধনী দিন উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈঠক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বইমেলার স্টলের ভিত্তি ও কাঠামো এরই মধ্যে দৃশ্যমান। দৃষ্টিনন্দন ও সৌন্দর্যে রূপ দিতে হাতুড়ি, পেরেক, করাত নিয়ে ব্যস্ত কর্মীরা। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে কাজের অগ্রগতি বেশি। বাংলা একাডেমিতে যেখানে স্টলের নির্মাণকাজ চলছে, সেখানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় নির্মাণকাজের পাশাপাশি বেশ কিছু স্টলে রং করা শেষ হয়েছে। কোনো কোনো স্টলে ব্যানারও লাগিয়ে ফেলেছেন প্রকাশকরা। কে কার আগে কাজ শেষ করবে তা নিয়ে যেন প্রতিযোগিতা চলছে।

Advertisement

মেলার প্যাভিলিয়নগুলোর কাজও চলছে পুরোদমে। অন্য বছর মেলা শুরু হওয়ার পরও দেখা যেতো প্যাভিলিয়নগুলোতে নির্মাণকাজ চলতো। এবার সে দৃশ্য দেখা যাবে না বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

আরও পড়ুন: কারও বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো মুক্তচিন্তার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না 

বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ অংশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টল নির্মাণে কাজ করছিলেন ইসহাক নামে এক নির্মাণকর্মী। তিনি বলেন, আমরা আজ কাজ শুরু করেছি। আর দুইদিন লাগবে শেষ করতে। মেলা শুরুর আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে একটি স্টলে রঙের কাজ করছিলেন শহিদুল নামের এক রংমিস্ত্রি। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আমি মেলায় রঙের কাজ করি। কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্টলে কাজ করছি। খুব ব্যস্ততা চলছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কেমন বইমেলা চান কবি-লেখকরা 

গতিধারা নামে একটি প্রকাশনীর স্টলে গিয়ে দেখা যায় এরই মধ্যে তারা ব্যানার লাগিয়েছেন। বইয়ের তাকগুলো প্রস্তুত করছিলেন কর্মীরা। স্টলের বাইরে কথা হয় ওই প্রকাশনীর পক্ষে মেলায় দায়িত্বে থাকা আহমদ কাউসারের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আমাদের স্টলের মালপত্র আগে থেকেই ছিল। যার জন্য স্টল বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই কাজ শুরু করে দেই। কাজ প্রায় শেষ। বই আনার অনুমতি পেলেই আমরা বই সাজাতে পারবো। তবে স্টল নির্মাণ ও সাজানোর ব্যয় এবার বেড়েছে।

আল-সাদী ভূঁইয়া/কেএসআর/জিকেএস