জাতীয়

ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি বেওয়ারিশ কুকুর

বংশবিস্তার রোধে বেওয়ারিশ কুকুর বন্ধ্যাত্বকরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এই কার্যক্রমের সুফল ঢাকাবাসী অচিরেই পাবেন বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে।

Advertisement

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ওয়ারীতে ফকিরচাঁন কমিউনিটি সেন্টারে ‘কুকুর বন্ধ্যাত্বকরণ কর্মসূচি’ উদ্বোধন করা হয়।

আরও পড়ুন: কুকুরে কামড়ালে প্রথমেই যা করবেন

এই অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা প্রতিটা অঞ্চলেই বন্ধ্যাত্বকরণ কার্যক্রম শুরু করবো। অঞ্চল-৫ থেকে শুরু করছি। আমাদের অঞ্চল ১-৪ এবং পরে আমাদের নতুন অঞ্চলেও এই কার্যক্রম চলবে। আশাবাদী, কিছুদিন পরই ঢাকাবাসী এই কার্যক্রমের উপকার পাওয়া শুরু করবেন এবং বেওয়ারিশ কুকুরের বিস্তৃতি রোধ হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঢাকায় পোষা প্রাণীর আবাসিক হোটেল ‘ফারিঘর’

বেওয়ারিশ কুকুরের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, উন্নত শহরগুলোতে বেওয়ারিশ কুকুর বা অন্য প্রাণী যত্রতত্র চলাচল করতে পারে না। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাদের নাগরিকরা এগুলোর পরিচর্যা করেন, নিয়ন্ত্রণে রাখেন এবং সেভাবেই একটি সুন্দর শহর গড়ে ওঠে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যাপারে নজর না দেওয়ায় ঢাকা শহরে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে। তাই বেওয়ারিশ কুকুরের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণে আমাদের একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: বাবার দাফনে সন্তানদের বাধা, রাতভর লাশের পাহারায় কুকুর

তিনি আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো পশুচিকিৎসক ছিল না। প্রায় ২০ বছর পর আমরা পাঁচজন পশুচিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছি। আমরা আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগকে সংস্কার করছি।

Advertisement

উদ্বোধনের দিন মোট ১০টি কুকুরকে বন্ধ্যাত্বকরণ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় এই কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতিদিন ১০টি করে কুকুর বন্ধ্যাত্বকরণ করা হবে।

বন্ধ্যাত্ব কুকুর চিহ্নিত করার সুবিধার্থে সেগুলোর কান ফুটো করে দেওয়া এবং সেগুলোর ঘাড়ে নীল রং স্প্রে করে দেওয়া হবে।

এমএমএ/জেডএইচ/জিকেএস