নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এতে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে প্রস্তুতি সভায় হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে এনএস সরকারি কলেজ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
স্থানীয় ও আওয়ামীলীগের একাধিক সূত্র জানায়, ২৯ জানুয়ারি বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে প্রস্তুতি সভা আহ্বান করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। ওই সভায় যোগ দেন এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ তার অনুসারীরা। সভা শুরুর পর দুপুরে নিজ অনুসারীদের নিয়ে সেখানে হাজির হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান। এসময় রমজান পৌর সাধারণ সম্পাদকের একক কর্তৃত্বে সভা আহ্বান ও কমিটির বাইরের নেতাকর্মীদের যোগদান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ সময় মঞ্চ থেকে পাল্টা প্রতিবাদ শুরু হলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল উত্তেজিত হয়ে সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সভা বয়কট করে চলে যান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান।
আরও পড়ুন: মঞ্চে ওঠা নিয়ে অনশনে হট্টগোল
এ বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চুন্নু বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কমিটির সদস্যদের বাদ দিয়ে তার অনুসারীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন৷ তার পকেট কমিটি দ্বারা মঙ্গলবার গণ-মিছিলের আয়োজন করেন। অথচ পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক হিসেবে আমাকে অবহিত করা হয়নি। অনুমোদিত পৌর কমিটিতে নতুন করে কাউকে পদ দেওয়ার সুযোগ নেই।
Advertisement
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর জনসভা সফল করার জন্য আমরা যখন কাজ করছি ঠিক তখন এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল গঠনতন্ত্র না মেনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভা আহ্বান করেছেন। ত্যাগী ও নিবেদিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সভা আহ্বান করেছেন। আরও পড়ুন: মঞ্চে ওঠা নিয়ে অনশনে হট্টগোল
এ বিষয়ে এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, আমি সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় যে পাঁচটি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে সদর ও পৌর কমিটি সভা আহ্বান করেছে। সেখানে শরিফুল ইসলাম রমজানকে প্রধান অতিথি ও আমাকে প্রধান বক্তা রাখা হয়। কিন্তু শরিফুল ইসলাম রমজান নিজের মনগড়া কমিটি গঠন করে তাদের নিয়ে সভায় যোগদান করলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করেন। সেখানে কোনো রকমের উত্তেজনা দেখা দেয়নি।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমান জানান, সভা চলাকালে দুপক্ষের বাকবিতণ্ডায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়। পরে শান্তিপূর্ণভাবে সভা সমাপ্ত হয় বলে জেনেছি।
রেজাউল করিম রেজা/আরএইচ/এএসএম
Advertisement