দেশজুড়ে

বই পায়নি সিরাজগঞ্জের ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী

বছরের প্রথমদিন উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলেও সিরাজগঞ্জে প্রাথমিকে ২০ ও মাধ্যমিকের ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী এখনো নতুন বই পায়নি। এর মধ্যে কোনো কোনো শ্রেণির একটিও বই পায়নি শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস শুরু হলেও পুরোদমে পাঠদান শুরু করা যাচ্ছে না।

Advertisement

জেলার সদর, কাজিপুর, কামারখন্দ ও উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের হাতে সব বিষয়ের বই পৌঁছাতে আরও কয়েক দিন লাগবে।

উল্লাপাড়ার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রৌহাদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসিন হাবিব জাগো নিউজকে বললো, সবগুলো বই এখনো পাইনি। এ কারণে সব বিষয় ক্লাসে পড়ালেও বাড়িতে গিয়ে ওই পড়াগুলো আর পড়তে পাড়ছি না।

আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ১৮ দিনেও অর্ধেক বই পায়নি শিক্ষার্থীরা

Advertisement

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৫১ হাজার ১৭ জন। এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৩ জন। এসব শিক্ষার্থীর বইয়ের চাহিদা অনুযায়ী এ পর্যন্ত প্রাথমিকে ৮০ ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেয়েছে।

জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৬৭১ ও বেসরকারি পর্যায়ে রয়েছে ৭০টি। অন্যদিকে, মাধ্যমিক সাধারণ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬৫০টি।

কাজীপুর উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানান, কিছু বই বাকি আছে। এ কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে সমস্যা হচ্ছে। আশা করি, কয়েকদিনের মধ্যে বাকি বইগুলো পেয়ে যাব।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজি সলিম উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, পুরো জেলায় চাহিদা ছিল ৫০ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৫টি বই। যার ৮১ শতাংশ বই এরইমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বাকি ১৯ শতাংশ বই এই মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীরা পেয়ে যাবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: নতুনের সঙ্গে পুরোনো বই, আক্ষেপ শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের

অন্যদিকে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ৮০ শতাংশ বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট বই শিক্ষার্থীরা শিগগির পাবে বলে আশা করছি।

এম এ মালেক/এমআরআর/এএসএম