বিনোদন

কলকাতায় ‘পাঠান’ সিনেমা ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে

ধৃমল দত্ত, কলকাতা

Advertisement

সব বিতর্ক শেষে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) মুক্তি পেয়েছে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ সিনেমা। এই শীতের সকালে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চলে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ভক্তদের ‘পাঠান’ সিনেমা দেখার যেন আর তর সইছে না।

‘পাঠান’ সিনেমার ‘বেশরম রং’ গানটিতে দীপিকা পাডুকোনকে যে গেরুয়া বিকিনিতে দেখা গিয়েছিল সেই থেকেই যত বিতর্কের সূত্রপাত। প্রথম থেকেই এই ‘পাঠান’ সিনেমাকে বিভিন্ন বিরোধিতা সইতে হয়েছে। সেই ‘বেশরম রং’ গানটি যখন থেকে মুক্তি পেয়েছে, তখন থেকেই বিভিন্ন প্রতিবাদ, বিক্ষোভের মুখে পড়েছে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ সিনেমা।

আরও পড়ুন: শাহরুখের ‘পাঠান’ সিনেমা অনলাইনে ফাঁস হওয়ার অভিযোগ

Advertisement

এমনকি ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) ছাড়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বার্তা দিলেও শুনতে নারাজ ছিলেন দেশটির বিভিন্ন গণসংগঠন। এ কারণে আসাম থেকে গুজরাটের একাধিক মাল্টিপ্লেক্স হলে ভাঙচুর চালানো হয়। এবং হল মালিকদের দেওয়া হয় হুমকিও। অবশেষে সেসব প্রত্যাহার করে নিল দেশটির গণসংগঠনগুলো।

এই সিনেমার যে ‘বেশরম রং’ গানটি নিয়ে এবং যে শব্দগুলো নিয়ে আপত্তি ছিল, সেগুলো সিবিএফসি বাদ দিয়েছে। ফলে যা নিয়ে আপত্তি ছিল, সেটা যখন রাখা হয়নি তখন আর আপত্তি করবে কি নিয়ে! অগত্যা বিরোধিতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির বিভিন্ন গণসংগঠন। চার বছর পর বলিউড বাদশা শাহরুখ খান তার ভক্তদের প্রতীক্ষার অবসান শেষে রূপালি পর্দায় ‘পাঠান’ নিয়ে হাজির হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘পাঠান’ বাংলাদেশে মুক্তির সংবাদে নির্মাতা-তারকাদের প্রতিক্রিয়া

শাহরুখ খানের পাঠান ঝড়ে উত্তাল কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চল। বিতর্ক, বয়কট সব ছাপিয়ে রিলিজ করতেই শোরগোল ফেললো বলিউড বাদশার পাঠান। বলিউড বাদশা শাহরুখ খান-বলিউড কুইন দীপিকা পাডুকোন অনস্কিন জুটি ‘পাঠান’ সিনেমা রিলিজ করার সঙ্গে সঙ্গে হইচই ফেলে দিয়েছে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী শহর অঞ্চলে।

Advertisement

কলকাতাসহ তার পার্শ্ববর্তী শহর অঞ্চলেও পাঠান নিয়ে উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। বলিউড বাদশার ভক্তরা সকালেই প্রেক্ষাগৃহের সামনে ঢাকঢোল নিয়ে হাজির। ‘পাঠান’ দেখে বেরিয়ে আসা বলিউড বাদশার ভক্তরা বলেন, পাঠান নিয়ে কোনো কথা হবে না, কেউ কেউ বললেন পাঠানে বিতর্কিত কোনো সংলাপ নেই। কেউ ‘পাঠান’ সিনেমাকে শতাংশের হিসাবে পাঁচের মধ্যে সারে চার দিতেও রাজি। 

এমএমএফ/এএসএম