জাতীয়

‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে সিগারেট দোকান বন্ধে কাজ করছি’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে সিগারেট দোকান বন্ধে আমরা কাজ করছি। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া সিনেমা ও নাটকে ধূমপানের দৃশ্য বন্ধেও আইন করা প্রয়োজন।

Advertisement

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের আগে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে নীতিনির্ধারকদের কাছে প্রত্যাশা শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এমন কথা বলেন তিনি।

এসময় সিগারেটের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করাসহ ছয়টি প্রস্তাব দেয় ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দি রুরাল পুয়র (ডরপ)। ওই সেমিনারে এসব প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি।

আরও পড়ুন>>> তামাক থেকে মুক্তিতে ‘বাধা’ আইন

Advertisement

তাদের অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-সব প্রকার উন্মুক্ত স্থান, গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকদ্রব্যের প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক পণ্যের সব প্রকার খুচরা শলাকা বিক্রয় বন্ধ করা।

এ অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির নির্বাহী উপদেষ্টা সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আজহার আলী তালুকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

আরও পড়ুন>>> তামাকবিরোধী প্রচারণায় জোর দেওয়ার তাগিদ বিশিষ্টজনদের

আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার প্রমুখ।

Advertisement

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গত ৫০ বছর ধরে ধূমপানের ক্ষতিকর বিষয়গুলো প্রচার করার পরও তামাক উৎপাদন ও বাজারকরণ বন্ধ করতে পারিনি। ডরপ যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে তা অত্যন্ত কার্যকর। এগুলো আইনে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে আমাদের তরূণ সমাজ উপকৃত হবে।

এসময় শামীম হায়দার বলেন, ‘ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকোতে সরকারের শেয়ার শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ। কিন্তু সেখানে সরকারের ৫ থেকে ৬ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কাজ করেন। এটা নেক্কারজনক। প্রধানমন্ত্রী যেখানে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন সেখানে তামাক কোম্পানিতে সচিবদের বোর্ড অব ডিরেক্টর থাকা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট তৈরি করে।’

আরও পড়ুন>>> মাদকের নতুন ছোবল ‘ই-লাইটার’

তিনি আরও বলেন, ই-সিগারেট নতুন হুমকি সৃষ্টি করছে। আমাদের দেশে ই-সিগারেট ছিল না। হঠাৎ করেই আমরা দেখছি ই-সিগারেট আমদানি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দুঃখের কথা অনেক চিকিৎসক ও বলছে সিগারেট থেকে ই-সিগারেট ভালো।

কাজী জেবুন্নেছা বেগম বলেন, আমাদের পরবর্তী হুমকি হচ্ছে ই-সিগারেট। সেটা আমদানি যদি আমরা বন্ধ না করতে পারি তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম শেষ হয়ে যাবে।

এসএম/এমআইএইচএস/জিকেএস