প্রিয়জনের প্রতি প্রশংসাসূচক কয়েকটি বাক্য ছুঁড়ে দেওয়া বেশ অভিবাদনযোগ্য হলেও, অনেকে তা করেন না। এই অভ্যাস দাম্পত্য সম্পর্ক যেমন ভালো রাখে, ঠিক তেমনই পরিবার, বন্ধু এমনকি কর্মস্থানেও আপনার প্রতি মানুষের মনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
Advertisement
অন্যের প্রশংসা করা খারাপ কোনো বিষয় নয়, তবে যেন তা অতিরঞ্জিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আজ ‘ন্যাশনাল কমপ্লিমেন্ট ডে’ বা ‘জাতীয় প্রশংসা দিবস’।
আরও পড়ুন: আকর্ষণীয় হয়েও কেন সিঙ্গেল থাকেন মানুষ?
মন খুলে আজ প্রিয়জনের প্রশংসা করুন। সঙ্গী, বন্ধু, সহকর্মী, ভাই-বোন কিংবা পরিজনের মধ্যে যারা আপনার প্রিয় তাদের প্রতি সম্মান দেখান ও কাজের প্রশংসা করুন।
Advertisement
কারো প্রশংসা পেলে আপনি যেমন আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন ও খুশি হন, ঠিক তেমনই আপনার প্রশংসা বাক্যও অন্যকে উৎসাহিত করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভালো কাজের জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি প্রশংসারে দাবিদার।
আজ আপনার স্ত্রী/স্বামী, বাবা-মা, ভাই-বোন, সহকর্মী’সহ পরিচিতজনকে তার কাজের প্রশংসা করুন। এমনকি আপনি যাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, তাদের প্রতিও আন্তরিকতা প্রদর্শন করুন।
আরও পড়ুন: শীতে চুলকানি বাড়ে কেন?
আপনি যখন অন্য কারো প্রশংসা করবেন, তখন দেখবেন অন্যান্যরাও আপনার প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখবে। তারাও আপনার চারপাশে থাকার চেষ্টা করবেন।
Advertisement
প্রকৃতপক্ষে, প্রশংসা করার ক্ষমতা হলো অনেকটা নেতৃত্ব দেওয়ার মতোই! কারণ যারা অন্যের প্রশংসা করেন তাদের মধ্যকার ইতিবাচক রূপ সবাই পছন্দ করেন বলেই এমন ব্যক্তিদের কাছাকাছি থাকতে চান অন্যরা।
আরও পড়ুন: হাই প্রেশার আছে কি না বুঝে নিন চোখ দেখেই
বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা অন্যের প্রশংসা করতে পারেন তাদের মধ্যে নেতিবাচকতা কম। আর এ কারণে তারা প্রদাহজনিত বিভিন্ন সমস্যাতেও (যেমন- স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ) কম ভোগেন।
অন্যদিকে যারা অন্যের প্রশংসা করতে পারেন না কিংবা মিশতে পারেন না কারো সঙ্গে, তাদের মধ্যকার নেতিবাচক মনোভাব স্বাস্থ্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এতে একাকিত্বে ভোগেন তারা, যেটি একসময় বিষণ্নতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সূত্র: ন্যাশনালটুডে/দ্যডেইলি.কেস
জেএমএস/এএসএম