দেশজুড়ে

নামজারির সরকারি খরচ ১১৭০ টাকা, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৫-১৮ হাজার!

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সরকারি ফির অতিরিক্ত টাকা না দিলে সেবা থেকে বঞ্চিত ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

Advertisement

একটি জমির খারিজ বা নামজারি করতে সরকার নির্ধারিত খরচ এক হাজার ১৭০ টাকা হলেও দলিলভেদে নেওয়া হয় ৫-১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। অথচ নামজারির আবেদনের জন্য কোর্ট ফি ২০ টাকা, নোটিশ জারি ফি ৫০ টাকা, রেকর্ড সংশোধন বা হালকরণ ফি এক হাজার টাকা ও প্রতি কপি মিউটেশন খতিয়ান সরবরাহ বাবদ ১০০ টাকার বাইরে আর কোনো খরচ নেই।

আরও পড়ুন: মায়ের সঙ্গে কারাগারে তিন বছরের শিশু

সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, ভূমি সংক্রান্ত কোনো কাজে অনলাইনে অফিস থেকে আবেদন না করলে বা বাড়তি দেওয়া টাকার পরিমাণ কম হলে সারাদিন বসিয়ে রাখেন উপ-সহকারী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। এমনকী সকাল ৯টার পরিবর্তে তিনি অফিসে আসেন বেলা ১১টা বা দুপুর ১২টায়।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘পার্বতীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুর্নীতি চরমে পৌঁছেছে। সরকারি নীতিমালার বাইরে চুক্তি অনুযায়ী মোটা অঙ্কের ঘুস ছাড়া নামজারি হয় না। নামজারির জন্য মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হয়।’

ভুক্তভোগী আব্দুল হাই জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার জমি খারিজ করতে ১২ হাজার টাকা নিয়েছেন উপ-সহকারী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। আমার পাশের একটি জমি খারিজ করে দেওয়ার নাম করে এক ব্যক্তির সঙ্গে ১৮ হাজার টাকার মৌখিক চুক্তি করেছেন। এরই মধ্যে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন। বাকি আট হাজার টাকা কাজ শেষ হলে নেবেন।’

আরও পড়ুন: জুতা খুলে তেড়ে এলেন সাবেক যুবলীগ নেতা, ভয়ে অজ্ঞান নার্স

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পার্বতীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘অফিসে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত লোকবল নেই। একসঙ্গে আমাকে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই অনলাইনের বিভিন্ন কাজ করার জন্য এক নিকটাত্মীয়কে (হাফিজুর) এখানে নিয়োগ দিয়েছি।’

Advertisement

দেরিতে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজের জন্য অফিসে আসতে দেরি হয়। জমি খারিজে অতিরিক্ত কোনো টাকা নেওয়া হয় না বলেও দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনিছুর রহমান রহমান বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোহান মাহমুদ/এসআর/এমএস