চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চাকরির ভাইভা দিতে এসে মারধরের শিকার যুবককে দ্বিতীয় দফায় মারধর করেছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
Advertisement
পুলিশের পাহারায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করার সময় তাকে গাড়ির ভেতরে রেখেই মারধর করা হয়। পরে পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মীদের থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনতলায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্টেশনতলায় আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। পুলিশের গাড়ি স্টেশনতলা অতিক্রম করে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা তা ঘিরে ধরেন। এসময় গাড়িতে বসে থাকা চাকরিপ্রার্থী নুর হোসাইনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি মারতে থাকেন তারা।
Advertisement
এরআগে সকালে ভাইভা শেষে উপাচার্যের কক্ষের সামনে তাকে মারধর করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইভা শেষে চাকরি প্রত্যাশীকে মারধর
নুর হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি ওই বিভাগে প্রভাষক পদে ভাইভা দিতে এসেছিলেন।
এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় জাগো নিউজকে বলেন, ‘সে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেবে শুনে ছাত্রলীগের কর্মীরা তার ব্যাপারে প্রশাসনকে জানাতে যায়। তখন উপাচার্য সভাকক্ষের সামনে কথা-কাটাকাটি হয়। আমরা প্রক্টর বরাবর তখন মৌখিক অভিযোগ দেই। কিন্তু বিকেলে পুলিশ পাহারায় তাকে সিএনজিতে করে ক্যাম্পাস থেকে বের করা হচ্ছে দেখে ছাত্রলীগ প্রতিহত করে। কারণ সে একজন অপরাধী। সরকারবিরোধী অসংখ্য স্ট্যাটাস রয়েছে তার। একজন অপরাধীকে পুলিশ নিজেদের গাড়িতে করে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নিয়ে যাবে, সিএনজিতে করে নয়।’
Advertisement
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন সবুজ বলেন, ওই যুবককে ক্যাম্পাস থেকে বের করে নিয়ে আসার সময় হালকা হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। তিনি এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।
এসআর/এএসএম