২০১৫ সাল থেকে বাফুফের নারী ফুটবল ক্যাম্পে ছিলেন আনুচিং মগিনি। সর্বশেষ নেপালে সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলে ছিলেন। এই প্রথম তিনি বাদ পড়লেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের ক্যাম্প থেকে। শনিবার ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ার কথা শোনার পরই রাতে তিনি ফিরে গেছেন খাগড়াছড়ি।
Advertisement
ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ে নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই পাহাড়ীকন্যা। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন ‘আজকের পর থেকে ফুটবলকে বিদায়।’
ক্যাম্প থেকে বাদ পড়লেই ফুটবল ছেড়ে দিতে হবে কেন? খাগড়াছড়ি থেকে আনুচিংয়ের জবাব ছিল এরকম, ‘আমাকে একটু সম্মানজনকভাবে বিদায় দিতে পারতো। অনেক দিন ধরে ক্যাম্পে ছিলাম। সারাদিন অনুশীলন করালেন, জিম করালেন। বিকেলে বলে দিলেন বাড়ি চলে যাও, তুমি বাদ পড়েছো। এটা হতে পারে না। তাই আমি ফুটবল আর খেলবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরও পড়ুন>সাফের টুর্নামেন্টে খেলবে ইউরোপের দেশ
Advertisement
ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ায় নিজে যেমন কষ্ট পেয়েছেন, তেমন কষ্ট পেয়েছেন তার পরিবার। ‘আমি শনিবার বিকেলে যখন বাবাকে ফোন করে বললাম বাড়ি চলে আসছি, তখন তিনি জানতে চেয়েছিলেন কেন চলে আসছি? আমি কোনো উত্তর দিতে পারিনি। আসলে আমার খুব খারাপ লেগেছে। এভাবে বিদায় হবো ভাবতে পারিনি।’
বর্তমানে বাফুফের ক্যাম্পে সিনিয়র জুনিয়র মিলিয়ে মেয়ে আছেন ৬৮ জন। গত সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া দুইজন বাদ পড়েছেন ক্যাম্প থেকে। অন্যজন হলেন সাজেদা। আর নতুন ঢুকেছেন বসুন্ধরা কিংসের জাপানী বংশোদ্ভূত ফুটবলার সুমাইয়া, কাচাড়িপাড়ার আফরোজা খাতুন, নাসসির এসসির আইরিন আক্তার, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া এফসির সাগরিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)।
আনুচিংয়ের বাদ পড়া প্রসঙ্গে নারী ফুটবলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘আমাদের ক্যাম্পের মেয়েদের পারফরম্যান্স সবসময় পর্যবেক্ষণে থাকে। সর্বশেষ লিগ, ক্যাম্পের অনুশীলন সবকিছুর পারফরম্যান্স দেখেই আমরা বিচার করি। পারফরম্যান্স খারাপ করলে টিকে থাকার সুযোগ নেই। কারণ, আমাদেরকে নতুনদের জায়গা দিতে হবে।’
আরআই/এমএমআর/এমএস
Advertisement