২৫০ বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ ইস্তাম্বুলের রামি ব্যারাককে পুনঃসংস্কারের পর ‘রামি লাইব্রেরি’ তৈরি করা হয়েছে। যা তুরস্ক, ইউরোপ এবং বিশ্বের বৃহত্তম গ্রন্থাগারগুলোর মধ্যে একটি। এই লাইব্রেরিতে সব বয়সী দর্শকদের মিলনস্থল হবে। এখানে শিশু-কিশোর, যুব, প্রাপ্তবয়স্ক, বিশেষ, আতাতুর্ক ও পাণ্ডুলিপির জন্য রয়েছে আলাদা বিভাগ।
Advertisement
শিক্ষার্থীদের সাথে প্রেসিডেন্ট এরদোগান
স্বতন্ত্র এবং গ্রুপ রিডিং স্থান ছাড়াও অন্যান্য সামাজিক কার্যকলাপ-কর্মশালা পরিচালনা এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা স্থান রয়েছে। লাইব্রেরিটি শিশু থেকে তরুণ-তরুণী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শিক্ষাবিদ সব বয়সী পাঠক এবং গবেষকদের জন্য সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
Advertisement
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, আমরা রামিকে শুধুমাত্র একটি লাইব্রেরি হিসেবেই নয়, একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবেও পরিকল্পনা করেছি। এখানে অনেক কার্যক্রম করা যেতে পারে। আমাদের লাইব্রেরি বইপ্রেমীদের, বিশেষ করে তরুণদের জন্য পুরো সপ্তাহ সেবা দেবে।
শিক্ষার্থীদের সাথে প্রেসিডেন্ট এরদোগান
তিনি বলেন, ৩৬ হাজার বর্গমিটার (লাইব্রেরির ভেতরের স্থান) এবং এর ল্যান্ডস্কেপ ৫১ হাজার বর্গমিটার (লাইব্রেরির বাইরের স্থানসহ), অন্যান্য সংযোজনসহ প্রায় ১১০ হাজার বর্গ মিটার এলাকার মধ্যে এটি করা হয়েছে। লাইব্রেরিতে ২ মিলিয়নেরও বেশি বই এবং চার হাজার ২০০ জনের আসন রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বইয়ের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
অনুষ্ঠানের আগে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার স্ত্রী এমিন এরদোগানের সাথে রামি লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন
Advertisement
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের ১০০ বছর পূর্তিকে ১০০টি নতুন লাইব্রেরির মাধ্যমে স্বাগত জানানোর লক্ষ্যে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি। একদিকে, আমাদের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, অন্যদিকে, আমাদের পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং গ্রন্থাগারের সাথে নগরায়ন জাতীয় উদ্যানের মধ্যে কাজ করে।
ইস্তাম্বুলের বৃহত্তম রামি লাইব্রেরি
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি তুরস্কের জন্য দিনরাত কাজ করছি যারা উৎপাদন করে, নেতৃত্ব দেয়, অনুসরণ করে না। আমরা আমাদের স্বপ্নপূরণ করব। সবকিছুকে ব্র্যান্ডে পরিণত করব। রামি লাইব্রেরি পরিদর্শন করার সময় সব বুকবাইন্ডিং দেখেছি এবং আমরা সেই ইউনিটগুলিতে প্রবেশ করেছি যেখানে বইগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল, একটি অপারেটিং রুমের মতো।
শিক্ষার্থীদের সাথে প্রেসিডেন্ট এরদোগান
তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার মুস্তফা সেন্টপ, ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর, সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী মেহমেত নুরি এরসয়, অন্যান্য মন্ত্রী মন্ত্রিসভার সদস্যরা, একে পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান নুমান কুরতুলমুস, যোগাযোগ পরিচালক ফাহরেটিন আলতুন, প্রেসিডেন্সির মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন, বিবিপি চেয়ারম্যান মুস্তফা ডেস্টিসি এবং প্রাক্তন পার্লামেন্ট স্পিকার ইসমাইল কাহরামান, সংস্কৃতি ও শিল্প নীতি বোর্ডের প্রেসিডেন্সি সদস্য ও লেখকরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআরএম/জিকেএস