তুরস্কের পরবর্তী পার্লামেন্টারি ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিশ্বজুড়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান হলো। আগামী ১৪ মে দেশটিতে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। খবর আল-জাজিরার।
Advertisement
শনিবার (২১ জানুয়ারি) উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের বুসা প্রদেশে এক যুব সম্মেলনে তিনি নির্বাচনের তারিখ জানান। কিন্তু এই সম্পর্কিত ভিডিওটি প্রকাশিত হয় রোববার।
আরও পড়ুন>একনায়কতন্ত্রের দ্বারপ্রান্তে তুরস্ক
যুবকদের উদ্দেশ্য এরদোয়ান বলেন, আপনাদের সঙ্গে লক্ষ্য ভাগাভাগি করতে পেরে আমি আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই। ১৪ মে যে নির্বাচন হবে সেখানে এসব যুবকরা প্রথমবারের মতো ভোট দেবে।
Advertisement
কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে ২৮ মে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে।
২০০৩ সাল থেকে তুরস্কে ক্ষমতায় আছেন এরদোয়ান। যদিও প্রথমে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন। তারপর ২০১৪ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট।
এদিকে দেশটির ছয় দলের জোট এখনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি। একটি কুর্দিপন্থি দল জোট থেকে বাদ পড়েছে যা, পার্লামেন্টে তৃতীয় বৃহত্তম দল। তারা নিজেরাই প্রার্থী দিতে পারে।
আরও পড়ুন>তুরস্কের শতবর্ষে এরদোয়ান যুগের সমাপ্তি ঘটতে পারে
Advertisement
উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটোর মধ্যে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম। দেশটি অশান্ত প্রতিবেশি দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ায়। সম্প্রতি দেশটি পশ্চিম বলকান, পূর্ব ভূমধ্যসাগর ও আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেছে। সর্বোপরি, এটি কৃষ্ণ সাগর ঘিরে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গত বছর তুরস্ক ক্ষুধার্ত বিশ্বে ইউক্রেনীয় শস্য পাঠানোর ব্যাপারে জাতিসংঘের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিল।
এমএসএম