রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মোবাইল ফোন চুরি করে পালানোর সময় দুই চোরকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চোরদের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে শীত নিবারণ করেন।
Advertisement
রোববার (২২ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোন চুরি করে পালানোর সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাবিতে মোবাইল ফোন চুরি করতে গিয়ে আটক ২, পুলিশে সোপর্দ
আটকরা হলেন, রাজশাহীর তেরোখাদিয়া ডাবতলা এলাকার শাকিল উদ্দিনের ছেলে শাহিন আহমেদ ধ্রুব (২০) এবং কোর্ট স্টেশনের রবিউল ইসলাম কালুর ছেলে মো. ফয়সাল (২০)।
Advertisement
অভিযুক্তদের আটকের পর শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে তাদের মারধর করেন। মারধর শেষে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের অতিথি কক্ষে আটকে রাখা হয় তাদের। এসময় আটকদের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা আটকদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের কাছে সোপর্দ করেন।
ঘটনাস্থলে থাকা রাজু নামের এক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, এসব চোরের এমন শাস্তি হওয়া উচিত। ওরা আগেও অনেক মোবাইল ফোন চুরি করেছেন। আজ হাতানাতে ধরা পড়েছেন।
আরও পড়ুন: সাইকেল চুরির সময় রাবি শিক্ষার্থীদের হাতে যুবক আটক
এদিকে, জ্বলন্ত মোটরসাইকেলের ছবি ও ভিডিও দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ফেসবুক গ্রুপে শিক্ষার্থীরা একের পর এক পোস্ট করতে থাকেন। এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলাপান এভাবেই হাত গরম করে বড়লোকস!'
Advertisement
জানা গেছে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট দিয়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাইহানুল ফেরদাউস মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে আসছিলেন। এসময় জোহা হলের দিক থেকে মোটরসাইকেলে এসে তার ফোন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে থাকা শিক্ষার্থীরা রাস্তা আটকিয়ে চোরদের ধরে ফেলেন।
আরও পড়ুন: ব্যবহারিক কক্ষ থেকে রাবির চারুকলা শিক্ষার্থীদের যন্ত্রপাতি চুরি
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, মোবাইল ফোন চুরি করে পালানোর সময় শিক্ষার্থীরা দুইজনকে আটক করে। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমরা তাদের উদ্ধার করতে পারলেও তাদের মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে আটকদের পুলিশে কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
মতিহার থানার পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুইজনকে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। তারা এখন আমাদের হেফাজতে আছেন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মনির হোসেন মাহিন/কেএসআর