জাতীয়

তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন পাস হচ্ছে শিগগির: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এবং ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়ন আয়োজিত দক্ষিণ এশীয় স্পিকার সম্মেলনে তিনি যুগান্তকারী এ ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।

Advertisement

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা প্রদানের সময় কয়েকটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি’র আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন অন্যতম। তার নির্দেশনার আলোকে এরই মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। খসড়া আইনটি দ্রুত পাস করার পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। শিগগির এটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর খসড়া আইনটি পাসের জন্য সংসদে উপস্থাপন করা হবে।

রোববার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে হাবিবে মিল্লাত এমপির লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান এ তথ্য।

আরও পড়ুন: প্রতিবছর করোনা টিকা নিতে হবে কি না নিশ্চিত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

Advertisement

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য ১৫৩ জন সংসদ সদস্যদের সুপারিশ বাস্তবায়নে এ মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিদ্যমান আইন সংশোধনীতে ই- সিগারেটসহ ইমার্জিং তামাক পণ্য নিষিদ্ধ করে প্রস্তাব যুক্ত করেছে। সুনির্দিষ্টভাবে, ১৫৩ জন সংসদ সদস্যের সুপারিশের আলোকে এ খসড়া আইনে ‘ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস ইত্যাদি নিষিদ্ধ’ বিষয়ক একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

নতুন এ ধারার মাধ্যমে ই- সিগারেটসহ সব ধরনের ইমার্জিং তামাক পণ্য আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: সরকার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেনি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

এইচএস/এমএইচআর/জিকেএস

Advertisement