রাজধানী মোহাম্মদপুরের টাইনি টটস স্কুলের নার্সারির শিক্ষার্থী রাশিদ আল আফাসি সাফীর। কয়েকদিন আগেও পাঁচ বছর বয়সী শিশুর চঞ্চলতায় ঘর মুখর হয়ে থাকতো। তার অবুঝ কথায় ঘরে হাসির রোল উঠতো, দেয়ালজুড়ে আঁকিবুঁকি আরও কত কি!
Advertisement
চঞ্চলতায় ভরা সেই ছোট সাফীর এখন লড়াই করছে দুরারোগ্য ক্যান্সারের সঙ্গে। মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালের বিছানায় শুয়ে সময় কাটছে তার। স্কুলে যাওয়া আর বাবার সঙ্গে ঘুরতে বের হওয়া যে সাফীর সবচেয়ে বেশি পছন্দ, তিন মাস হয়ে গেছে সেই সাফীর স্কুলে যায়নি এবং বাবার সঙ্গে ঘুরতেও বের হয়নি।
ক্যান্সারকে পরাজিত করে সুস্থ শরীরে সাফীর আবার স্কুলে যেতে চায়। বাবার সঙ্গে মুক্ত বাসাতে ঘুরে বেড়াতে চায়। সাফীরের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে চাকরি হারানো রাশেদুল ইসলাম কোমল বাধ্য হয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন সমাজের কাছে।
আরও পড়ুন: ক্যানসারে স্বামীর মৃত্যু, ছেলেকেও হারানোর আশঙ্কায় ইসমোতারা
Advertisement
সাহায্য চেয়ে সাফীরের বাবা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ক্যান্সার। শব্দটা তার (সাফীর) জন্য খুব ভয়ংকর। যদিও এত ছোট হয়েও ক্যান্সারের যন্ত্রণা নীরবে সহ্য করে চলেছে। কদিন আগেও ওর চঞ্চলতায় ঘর মুখর হয়ে থাকতো, অবুঝ কথায় ঘরে হাসির রোল উঠতো, দেয়ালজুড়ে আঁকিবুঁকি আরও কত কি!
অসম্ভব পছন্দ স্কুলে যাওয়া আর আমার সাথে ঘুরতে যাওয়া। কিন্তু গত তিন মাস ওর স্কুলে যাওয়া হয়নি, আমার সাথে ঘুরতে যায়নি, তার মায়ের আঙুল ধরে শপিংয়ে গিয়ে টয় কেনেনি...
তিনি লিখেছেন, মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালে ছোট্ট সাফীর লড়ছে ক্যান্সারের সঙ্গে। সে এ লড়াই জিততে চায়, স্বাভাবিক হতে চায়, ফিরে আসতে চায় সবার মাঝে। চলুন হাত বাড়াই, এ লড়াইয়ে সঙ্গী হই সাফীরের, ফিরিয়ে আনি ছোট্ট সাফীরকে।’
সাফীরের সম্পর্কে জানতে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় সাফীরের চাচা শেখ রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে যে ৮টি কেমো দেওয়ার কথা, সেটি শেষ হয়েছে। কিন্তু ওই কেমো দেওয়ার পরও ওর বোনমেরুতে জীবাণু রয়েছে। যে কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও পাঁচদিন করে কেমো চলবে। এ রকম কেমো চলবে আরও চারটি। দ্বিতীয় পর্যায়ের কেমোর প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে।’
Advertisement
আরও পড়ুন: ৩ লাখ টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না বখতিয়ারের
সাফীরের চিকৎসার জন্য কী পরিমাণ অর্থ জোগাড় হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে রকম কোনো কিছু এখনো হয়নি। আমাদের গ্রামের জমি বিক্রি করা হয়েছে, বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন ধার দিয়েছেন। এরকম ভাবে কিছু অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ভাই বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো। সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে দীর্ঘদিন চাকরিতে অনুপস্থিত আছে। চাকরিটা আসলে নেই এখন। সে কারণে নিরুপায় হয়েই আমার ছোটভাই সাহায্যের হাত পেতেছেন।’
সাফীরের জন্য সাহায্য পাঠাতে পারেন বিকাশ, নগদ ও রকেটের ০১৭২৩০০৪২০০ নম্বরের মাধ্যমে। পাশাপাশি ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড বা অনলাইনে অনুদান দিতে পারেন এই লিঙ্কের মাধ্যমে।
পার্সোনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অনুদান দিতে চাইলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, এসি নম্বর ১৮৩৫৮০৪৬৯০১, এসএম রাশেদুল ইসলাম, গুলশান ব্র্যাঞ্চ, রাউটিং নম্বর ২১৫২৬১৭২৬।
এমএএস/এসইউ/জিকেএস