খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় লালশাক। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হিসেবে এটি একটি জনপ্রিয় খাবার। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই লালশাক চাষ হয়। পাশাপাশি বেকারত্ব দূর করতে নিজের অথবা বর্গা জমিতে লালশাক চাষ করতে পারেন।
Advertisement
জমি তৈরি ও বীজ বপনখুব ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করে নিতে হবে। জমি ও মাটির অবস্থা বুঝে ৪-৬টি চাষ ও মই দিতে হবে। বীজ ছিটিয়ে ও সারিতে এটি বপন করা যায়। তবে সারিতে বপন করা সুবিধাজনক। এক সারি থেকে অন্য সারির দূরত্ব হবে ২০ সেন্টিমিটার। একটি কাঠি দিয়ে ১৫-২০ সেন্টিমিটার গভীর লাইন টেনে সারিতে বীজ বুনে মাটি সমান করে দিতে হবে। সারাবছরই লালশাক চাষ করা যায়। তবে শীতের শুরুতে লালশাকের ফলন বেশি হয়।
আরও পড়ুন: ঈশ্বরদীতে পুকুরপাড়ে সবজি চাষে সফল মাছ চাষিরা
মাটির প্রকৃতিপ্রায় সব ধরনের মাটিতেই সারাবছর ‘বারি লাল শাক-১’ এর চাষ করা হয়। তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি লালশাক চাষের জন্য উপযোগী।
Advertisement
সার প্রয়োগমানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে লালশাক চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরন অনুযায়ী সার প্রয়োগ করা উচিত। জৈব সার ব্যবহারে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ ভালো থাকবে। গবাদি পশু থেকে গোবর সংগ্রহ করা যায়। এ ছাড়া ভালো ফলন পেতে জমিতে আবর্জনা ও পঁচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশেপাশে গর্ত করে আবর্জনা, ঝরাপাতা ইত্যাদি স্তূপ করে সার তৈরি করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বাড়ির আঙিনায় বাড়ছে সবজি চাষ
পরিচর্যাবীজ গজানোর ১ সপ্তাহ পর প্রত্যেক সারিতে ৫ সেন্টিমিটার পর পর গাছ রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে। জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে। জমির উপরের মাটিতে চটা হলে নিড়ানি দেওয়ার সময় তা ভেঙে দিতে হবে।
মনে রাখবেন, উন্নত পদ্ধতিতে লালশাক চাষ করলে প্রতিবিঘা জমি থেকে প্রায় ৫শ’ কেজি শাক পাওয়া যায়।
Advertisement
এসইউ/এমএস