নাজিব ওয়াদুদ
Advertisement
এডওয়ার্ড সাইদের বহুল-আলোচিত অরিয়েন্টালিজম প্রকাশিত হয় ১৯৭৮ সালে। তার এই গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়ে উত্তর-উপনিবেশবাদ একটি সমালোচনাতত্ত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় তার দি কোশ্চেন অব প্যালেস্টাইন (১৯৭৯), কভারিং ইসলাম (১৯৮১), কালচার অ্যান্ড ইমপেরিয়ালিজম (১৯৯৩), প্রভৃতি যুগস্রষ্টা বই। সাইদ দেখিয়েছেন, অরিয়েন্টালিজম বা প্রাচ্যতত্ত্ব হচ্ছে ‘প্রতীচ্যের একটা বিশিষ্ট চিন্তা ও কর্মপদ্ধতি যার মাধ্যমে সে প্রচ্যের ওপর তার প্রাধান্য বিস্তার করে, তাকে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী বিনির্মাণ করে এবং তার ওপর কর্তৃত্ব করে।’ এইভাবে পাশ্চাত্য শুধু প্রাচ্যের ওপর নয়, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর তাবৎ দুর্বল জাতির ওপরেই উপনিবেশ চাপিয়ে দেয় এবং মানব প্রজাতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ফেলে—একদিকে থাকে ‘পাশ্চাত্য’ অর্থাৎ তারা নিজেরা, অন্যদিকে ‘অন্যরা’। উপনিবেশ উপনিবেশিতকে মন-মানসিকতায় এতটাই অধমর্ণ করে তোলে যে, সে এমনকি শোষণের প্রতিবাদ করার কৌশল ও ভাষা খুঁজে পায় না। সাইদ বলেন, উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতার অর্থ কেবল নিজেদের ভূমি পুনরুদ্ধার নয়, নিজস্ব সংস্কৃতি নির্মাণ করাও। কিন্তু সমস্যা হলো, ঔপনিবেশিক শক্তি তার চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা ও মূল্যবিচারপদ্ধতির মাধ্যমে উপনিবেশিতের বস্তুবিশ্ব ও মানসগঠনে মৌলিক রূপান্তর ঘটায় এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকে চোখের আড়াল করে রাখে, অথবা তাকে অবমূল্যায়িত করে, কিংবা তাতে ভেজাল মিশিয়ে দেয়। সে কারণে উপনিবেশবিরোধী লড়াইয়ের বিশুদ্ধ ও কার্যকর উপায়-উপকরণ মজুদ থাকে না উপনিবেশিতের হাতের কাছে। তাকে সেটা পুনরাবিষ্কার, পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন করতে হয়। সাহিত্যের প্রসঙ্গ যদি ধরি, তাকে নিজের ছাঁচ তৈরি করতে হয় প্রথমে পুনর্নিমাণ এবং পরে ক্রমান্বয়ে তাকে অতিক্রমণের মধ্য দিয়ে। গায়ত্রী স্পিভাক এর সঙ্গে লিঙ্গ বৈষম্যকে যুক্ত করেন। অন্যদিকে হোমি ভাবার মতে, ঔপনিবেশিক উপনিবেশিতকে ‘তার মতো’ বানাতে চায়, সে পুরোপুরি ‘অপর’ হয়ে থাকবে না, কিন্তু পুরোপুরি ঔপনিবেশিক আগ্রাসনকারীর স্তরেও উঠবে না। তিনি এটাকে শঙ্করায়ন বলেছেন। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত তার ‘অফ মিমিক্রি অ্যান্ড ম্যান’ প্রবন্ধে ভাবা বলেছেন, ঔপনিবেশিক চেয়েছে উপনিবেশিত তার আদলে গড়ে উঠুক, তার ‘দ্বিতীয়-স্থানত্ব’ অর্জন করুক, কিন্তু অবশ্যই থেকে যাক সেই ‘অপর’ই যা সে আগেও ছিল।
উপনিবেশবাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ‘বশংবদ’ তৈরি করা। উপনিবেশিত যেন সব সময় মনে করে সে ছোট, তার যা-কিছু রয়েছে তার সবকিছুই উৎকর্ষের দিক থেকে ঔপনিবেশিকের চেয়ে গৌণ, সে কারণে তার উচিত কেবল ঔপনিবেশিকের অনুকরণ ও অনুসরণ করে যাওয়া। ১৮৩৫ সালে ভারতের ইংরেজ ঔপনিবেশিক প্রশাসনের কর্তা ম্যাকলে বলেছিলেন, ‘প্রাচ্যের তাবৎ সাহিত্যও ইউরোপীয় এক শেলফ সাহিত্যের সমান সাংস্কৃতিক মূল্য ধারণ করে না।’ তার এই উক্তি তাদের ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গি ও লক্ষ্যের উপস্থাপক। এই যুক্তির বলে উপনিবেশিতের শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে অবমূল্যায়িত করে, তাকে আড়ালে ঠেলে দিয়ে, ইউরোপীয় শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে প্রতিস্থাপিত করা হয়। তার ফল কত মারাত্মক হয়েছে তা বোঝানোর জন্য আলেক বেহমার তার ‘পোস্টকলোনিয়ালিজম’ প্রবন্ধে কয়েকটা উদাহরণ দিয়েছেন। নাইজেরীয় ঔপন্যাসিক বেন ওকরি তরুণ বয়সে মনে করতেন ‘ইংল্যান্ড হচ্ছে মহৎ গ্রন্থের দেশ।’ শেক্সপীয়র ও ডিকেন্স পাঠ করে তার এই ধারণা জন্মেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ঔপন্যাসিক ভিএস নাইপলও প্রথম দিকে ডিকেন্স পাঠের প্রভাবে ইংল্যান্ডকে ‘সাহিত্যের দেশ’ মনে করতেন। দি ওভারক্রাউডেড ব্যারাকুন-এ তিনি বলেছেন, ত্রিনিদাদের স্থানীয় ফুল জুঁইকে তিনি বিদেশি ফুল মনে করতেন, আর ওয়ার্ডসওয়ার্থ-এর ড্যাফোডিল তার মনে এতই উচ্চাসন দখল করেছিল যে, সেটাকেই নিজেদের বাগানের সুপরিচিত ফুল বলে মনে হতো। এই উপনিবেশিত মনই রবীন্দ্রনাথের মতো ব্যক্তিত্বকে দিয়ে ইংল্যান্ডের রানির ভারত আগমন উপলক্ষে লিখিয়ে নিয়েছিল—‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে, ভারত ভাগ্যবিধাতা।’ আসলে, তপোধীর ভট্টাচার্য যেমন বলেন, ‘অলিন্দশূন্য বাতায়নশূন্য সুরক্ষিত বন্দীশালায় আমাদের মেধা ও হৃদয় শৃঙ্খলিত হওয়ায় আমরা যে আসলে আধিপত্যবাদী শক্তির পুতুল মাত্র, এই বোধের প্রকাশ ঘটেনি ইপ্সিত মাত্রায়।’ ব্যতিক্রম কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি জানতেন এই ঔপনিবেশিক শক্তি একটি যাঁতাকলের মতো। তাই তিনি সরাসরি ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন। তপোধীর আরও বলেন, ‘উপনিবেশীকৃত মন কখনও আধিপত্যবাদী মহাসন্দর্ভকে প্রশ্ন করতে পারে না, বিকল্প কোনো প্রতিবেদন খোঁজার তো কথাই ওঠে না। ...লোকায়ত সাংস্কৃতিক উপলব্ধি ঐ মহাসন্দর্ভে কিছু মাত্র স্বীকৃতি পায় না এবং উপনিবেশীকৃত মনও নিজের শেকড়কে নিজেই তাচ্ছিল্য করতে শেখে।’
একটা সংস্কৃতিকে অন্য সংস্কৃতির তুলনায় অবমূল্যায়িত করার এই প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ উত্তর-উপনিবেশবাদী লেখকের কাছে লেখনির মাধ্যমে আত্ম-সংজ্ঞা নির্ধারণের প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। উপনিবেশ-কাল এবং উপনিবেশ-পরবর্তী-কাল, উভয় ক্ষেত্রেই, এই প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ। উপনিবেশবাদী মনস্তত্ত্ব উপনিবেশিতের ওপর এতটাই গভীরভাবে প্রভাবশীল থাকে যে, উপনিবেশিত লেখককে এখানে দুটো সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়। প্রথমত, তার সামনে থাকে আঙিক, ভাষা ও মূল্যবিচার, এমনকি বিষয়েরও, যে-কর্তৃত্বশীল প্রকৃতি ও মান ঔপনিবেশিক কর্তৃক স্থির করে দেওয়া আছে তাকে অস্বীকার করে টিকে থাকার ঝুঁকি। দ্বিতীয়ত, তার প্রতিস্পর্ধী নিজস্ব কোনো পদ্ধতি ও মানের অনুপস্থিতি। সেকারণে বশংবদ লেখকরা, এমনকি উপনিবেশবিরোধী লেখকরাও অংশত, ঔপনিবেশিকের বিষয়চেতনা, ভাষা, আঙ্গিক, উপমা, প্রতীক, চিত্রকল্প, তার কর্তৃত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বকে মান্য করেই লিখতে বাধ্য হন। আলেক বেহমার তার উপর্যুক্ত প্রবন্ধে নোবেলবিজয়ী ক্যারিবিয়ান লেখক ডেরেক ওয়ালকটের আম খেতে-খেতে ইউরোপীয় ক্ল্যাসিক পড়ার মজার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এইভাবে তিনি দুটোকেই নিজের বলে দাবি করতে চেয়েছেন। এই আত্মসমর্পণ বা নিদেনপক্ষে সমঝোতা তাকে করতে হয়। এর থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেন খুব কম লেখকই।
Advertisement
এ প্রসঙ্গে ‘আধুনিকতাবাদ’কেও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। কারণ ‘আধুনিকতা’ শব্দটির সঙ্গে উপনিবেশবাদের গন্ধ জড়িয়ে আছে। এই একটি শব্দ দিয়েই সাহিত্যবিচারের নতুন পাশ্চাত্যীয় মানদণ্ড দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়, যা ‘অন্যদের’ অর্থাৎ প্রতীচ্যের বাইরের সকল সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ‘অনাধুনিক’ ও ‘পশ্চাদপদ’ এবং ‘নিম্নমানের’ বা ‘বর্তমানে অচল’ বলে প্রত্যাখ্যান করে। উদাহরণস্বরূপ বাংলা সাহিত্যেও কথা বলা যায়। ইংরেজ ঔপনিবেশিকরা প্রথমে একটি ‘প্রমিত’ ভাষা তৈরি করে। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার মাধ্যমে এই ভাষার নির্মাণ ও লালন এবং সেই ভাষায় দক্ষ শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলা হয়। এই ভাষা ও শিক্ষা উপনিবেশিতকে শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বাংলা সাহিত্যকে গড়ে-পিটে ‘মানুষ’ করার দায়িত্ব এরাই পালন করে। সুতরাং এই সাহিত্য বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সমাজবিচ্ছিন্ন, নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিবিচ্ছিন্ন হয়ে ওঠে। বাংলা সাহিত্যের, বিশেষত কবিতার, হাজার বছরের ঐতিহ্য থাকলেও তা বিচ্ছিন্ন হয়ে ইউরোপের আদলে নতুন রূপে, নতুন রুচিতে পুনর্নির্মিত হতে থাকে। এটি হচ্ছে ‘ঔপনিবেশিক আধুনিকতা’। এই আধুনিকতার হাত ধরে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, সম্প্রসারণ ও প্রয়োগ নিসর্গের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। সেজন্য আধুনিকতাবাদ ও উত্তর-আধুনিকতাবাদকে নিসর্গতত্ত্বের বিপরীত মেরুর তত্ত্ব হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং সেটাই বাঞ্ছনীয়, বিশেষ করে উপনিবেশিত দেশগুলোর ক্ষেত্রে এটা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সংক্ষিপ্ত এই আলোচনার পর আমরা ওয়াকিবহাল হই যে, উত্তর-উপনিবেশবাদের উদ্দেশ্য উপনিবেশিতের নিজস্ব প্রকৃতি ও লোকজ ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে আত্মপরিচিয় নির্মাণ করা। অন্যদিকে নিসর্গতত্ত্বের লক্ষ্য নিজস্ব প্রকৃতি ও লোকজ ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ন রাখা এবং তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে জীবনযাপন করা। কিন্তু বিশেষত এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার মতো উপনিবেশ-আক্রান্ত অঞ্চলে ঔপনিবেশিকতার অবিরাম আগ্রাসনের মুখে নিজস্ব প্রকৃতি এবং লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই। পাশ্চাত্যে সেটা না করলেও চলে। সুতরাং ইউরোপ-আমেরিকা যে-রকম নির্দোষ, শান্ত-স্নিগ্ধ নিসর্গ কামনা করে তা আধুনিকতা ও উত্তর-আধুনিকতার বিরোধী হলেও তার উপনিবেশবাদবিরোধী হওয়ার দরকার পড়ে না। কিন্তু উপনিবেশগুলোয় নিসর্গতত্ত্বকে উপনিবেশবিরোধী হতেই হয়। মার্কিন নিসর্গতাত্ত্বিক ঔপন্যাসিক মাইকেল জে ম্যাকডাওয়েল বলেছেন, উত্তর-আধুনিকতাবাদ ‘ভাষার বিশ্লেষণ নিয়ে এত বেশি মগ্ন হয়েছে যে বস্তুবিশ্ব (physical world) সরাসরি অস্বীকৃত না হলেও উপেক্ষিত হচ্ছে।’ অর্থাৎ উত্তর-আধুনিকতাও প্রকারান্তরে উত্তর-উপনিবেশবাদ ও নিসর্গতত্ত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।
উপর্যুক্ত আলোচনার ভিত্তিতে এবার আমরা আমিনুল ইসলামের কাব্যসমগ্র পর্যালোচনা করে দেখব তার কাব্যপ্রবণতায় উত্তর-ঔপনিবেশিক নিসর্গতত্ত্বের কোনো প্রভাব আছে কি না বা থাকলে তা কতটুকু, কী রকম।
ঔপনিবেশিক শক্তি পাশ্চাত্য বরাবরই এই দাবি করে যে, একমাত্র তারাই সভ্য, সবচেয়ে সভ্য এবং তারাই আধুনিক ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। অধিকন্তু তারা এই গর্বও প্রকাশ করে যে, ইউরোপ-আমেরিকার বাইরের ‘অসভ্য’ অথবা ‘কম সভ্য’ মানুষগুলোকে ‘সভ্য’ ও ‘আধুনিক’ বানানো তাদের দায়িত্ব; কেবল দায়িত্ব নয় বরং অধিকার। তাই অন্য দেশ দখল করে শাসন করা অবৈধ তো নয়ই বরং তাদের নৈতিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তারা যে ঔপনিবেশিক এটা কোনো মন্দ জিনিস নয়। তারা তাদের সংস্কৃতিকে অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। তারা তাদের সাহিত্যকে চাপিয়ে দিতে চায়। তারা তাদের অর্থনৈতিক শোষণকে বৈধতা দিতে চায়। তারা তাদের ভাষা ও ধর্মকেও চাপিয়ে দিতে চায় উপনিবেশিতের ওপর। তারা তাদের পক্ষে নিজেদের একতাকে ব্যবহার করে, জাতিসংঘকে ব্যবহার করে, বিশ্বব্যাংককে ব্যবহার করে, আন্তর্জাতিক আদালতকে ব্যবহার করে, গ্যাট এবং বিশ্ববাণিজ্য সংস্থাকে ব্যবহার করে। কৌশলে কাজ না হলে তারা সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে। যারা তাদের বিরোধী, যারা তাদের আগ্রাসন থেকে নিজেদের নিজস্বতাকে সুরক্ষা দিতে চায়, তাদের অসভ্য, পশ্চাৎপদ, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক, সন্ত্রাসী প্রভৃতি অপবাদ দিয়ে নাস্তানাবুদ করে। কখনো কখনো উপনিবেশবাদী শক্তির সর্বমুখী আক্রমণের মুখে প্রতিবাদের আগ্রহ ও ভাষাও হারিয়ে ফেলে উপনিবেশিত রাষ্ট্র ও জাতিসমূহ। আমিনুল ইসলাম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ঔপনিবেশিক শক্তি ও উপনিবেশিতের এই চারিত্র্যকে শনাক্ত করেছেন।
Advertisement
চলবে...
আরও পড়ুন: উত্তর-ঔপনিবেশিক নিসর্গতত্ত্ব ও আমিনুল ইসলামের কবিতা: পর্ব ০১
লেখক: কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক।
এসইউ/এমএস