বিনোদন

আদরের প্রেমে মজেছেন স্পর্শিয়া!

প্রথমবারের মতো ওয়েব ফিল্মে কাজ করছেন চিত্রনায়ক আদর আজাদ। নাম ‘এখানে নোঙ্গর’। এতে সারেং রূপে ব্যতিক্রম চরিত্রে দেখা যাবে এই অভিনেতাকে। চরিত্রের নাম আলতামাস। এরই মধ্যে অন্তর্জালে চরিত্রের একটি লুক শেয়ার করেছেন আদর।

Advertisement

নতুন লুক প্রকাশ্যে আসতেই সাধুবাদ পাচ্ছেন তিনি। এই ওয়েব ফিল্মের মাধ্যমে প্রথমবার জুটি হয়ে কাজ করছেন আদর ও অর্চিতা স্পর্শিয়া। এতে জাহাজের সারেংয়ের প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। রাজিবুল ইসলাম রাজিবের রচনায় এর চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করছেন মেহেদী রনি। আরও পড়ুন: ভালোবাসার গল্পে আদর-প্রকৃতি

প্রথমবার ওয়েব ফিল্মে কাজ প্রসঙ্গে আদর বলেন, এর গল্পটি দারুণ। গতানুগতিক গল্প নয়। আলতামাস বছরে চার বার তার বালুর জাহাজ কাউখালিতে নোঙর করে। এই নোঙর ঘিরেই এগিয়ে যায় গল্প। এটা মূলত রোমান্টিক এবং ট্রাজেডি জনরার গল্প। সাধারণত ওয়েব ফিল্ম মানেই ডার্ক, থিলার, ক্রাইমের গল্প দেখা যায়। তবে এটি তার বিপরীত। দর্শকদের ভালো লাগার মতো একটি গল্প। আশা করছি, দর্শক ভিন্ন স্বাদের একটি কাজ উপহার পাবে।

স্পর্শিয়া বলেন, ‘এখানে নোঙ্গর’র গল্প এ সময়ের অন্যান্য সিনেমা থেকে অনেকটা আলাদা। চরিত্রেও আছে চেনাজানা মানুষের ছায়া। এর ঘটনাবহুল কাহিনি দর্শককে আমাদের চলমান জীবনধারা নিয়ে কিছুটা হলেও ভাবাবে।

Advertisement

নির্মাতা রনি বলেন, গল্পটি মূলত নদী, মালবাহী জাহাজ এবং এর সঙ্গে যুক্ত কিছু চরিত্র নিয়ে। চেনাজানা গল্প থেকে বেরিয়ে একদম গ্রাম বাংলার দর্শকদের জন্য এটি নির্মাণ করেছি। যারা অভিনয় করছেন সবাই অনেক পরিশ্রম করছে। বিশেষ করে আদরের বেশ কিছু দৃশ্য ছিল নদীতে সাঁতার কাটা, বৃষ্টিতে ভেজা, প্রচণ্ড শীতের মধ্যে তাকে এই দৃশ্য গুলো করতে হচ্ছে। আশা করছি, কাজটি সবার পছন্দ হবে।

আরও পড়ুন: নায়ক আদর আজাদের সঙ্গে বগুড়া মাতালেন বুবলী

গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ঢাকার আমিনবাজার ও মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে ওয়েব ফিল্মের শুটিং শুরু হয়। রোববার (২২ জানুয়ারি) বাকি অংশের শুটিংয়ের জন্য টিম যাচ্ছে বরিশাল অঞ্চলে। সেখানে বাকি অংশের শুটিং দিয়ে পুরো ওয়েব ফিল্মের কাজ শেষ হবে ২৫ জানুয়ারি।

‘এখানে নোঙ্গর’-এ অন্যান্য চরিত্রে আরও আছেন মামুনুর রশীদ, শহীদুজ্জামান সেলিম, ইন্তেখাব দিনার, শতাব্দী ওয়াদুদ, ইকবাল, হানিফ পালোয়ান প্রমুখ। অচিরেই এটি আরটিভি প্লাস অ্যাপে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানান নির্মাতা।

Advertisement

এমআই/এমএমএফ/এমএস