* ১৫ হাজার বাংলাদেশির বৈধতা কার্যক্রম শুরু* বছরে ৯ মাস গ্রিসে ৩ মাস নিজ দেশে থাকতে হবে* নেওয়া যাবে না পরিবার, যাওয়া যাবে না অন্যদেশে
Advertisement
নানা জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে গ্রিসে বসবাসরত অনিয়মিত বাংলাদেশিদের সুখবর দিলো দেশটির সরকার। এরই মধ্যে গ্রিসে থাকা ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে সিজনাল ভিসায় বৈধ করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গত বুধবার থেকে বাংলাদেশিদের আবেদনের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম খুলে দেওয়া হয়েছে। এরপরই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আবেদন করা শুরু করেছেন অনিয়মিত বাংলাদেশিরা। এরই মধ্যে একজন বাংলাদেশির আবেদন গ্রহণ করে একটি নিশ্চিতকরণ সনদ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, গেলো বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফর করেন গ্রিক অভিবাসন বিষয়কমন্ত্রী নোতিস মিতারাচি। এ সময় তার মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়।
Advertisement
এই চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপের দেশ গ্রিসে প্রতি বছরে চার হাজার করে বাংলাদেশি কর্মীকে মৌসুমি কাজের ভিসা দেওয়া হবে এবং গ্রিসে বসবাসরত ১৫ হাজার অনিয়মিত বাংলাদেশিকে বৈধতার আওতায় আনা হবে। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এবার অনিয়মিত বাংলাদেশিদের আবেদনের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে গ্রিক সরকার। যারা এরই মধ্যে প্রথম ধাপে দূতাবাসে নিবন্ধন করেছেন তারা এখন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গিয়ে বৈধতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
দূতাবাস জানায়, প্রথম ধাপে দূতাবাসে নাম নিবন্ধন করতে দুই বছরের বেশি মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট এবং ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির আগে গ্রিসে আগমন বা বসবাসের প্রমাণপত্র থাকতে হবে। এছাড়াও বৈধতার আবেদনের জন্য একজন চাকরিদাতার নিয়োগপত্রও থাকতে হবে।
আবেদনকারী নিজ নামে নিবন্ধিত সিম নম্বর ও একটি ইমেইল অ্যাড্রেসও দিতে হবে। এরপর দূতাবাস সব তথ্য যাচাই করে তালিকাভুক্ত করবে আবেদনকারীকে। পরে তালিকাটি পাঠানো হবে অভিবাসন মন্ত্রণালয়ে। এরই মধ্যে ১ হাজার আবেদনকারীর তালিকা পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আবেদন করতে আগে নির্ধারিত ফি (৭৫ ইউরো) দিতে হবে। এরপর ফি দেওয়ার রসিদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। আবেদন সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার পরপরই আবেদনকারীর ইমেইলে তার নিশ্চিতকরণ একটি সনদ পাঠানো হয়। এই বৈধতার আওতায় আসতে হোটেল-রেস্টুরেন্ট, কৃষি কাজ, মিনি মার্কেট, গার্মেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ নিয়োগপত্র নিয়ে বৈধতার আবেদন করতে পারবেন।
তবে প্রকাশিত গেজেটে কিছু শর্ত রয়েছে- এসব অভিবাসীরা বৈধ হয়ে সিজনাল শ্রমিক হিসেবে বছরে নয় মাস কাজ করার পরে বাকি তিন বাংলাদেশে থাকতে হবে। এটি ৫ বছরের জন্য বৈধতা দেওয়া হবে। এদিকে এরই মধ্যে একজন বাংলাদেশি আবেদন করে সফল হয়েছেন। তার আবেদনটি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আবেদন গ্রহণ করে একটি অনলাইন বেবেয়সি (নিশ্চিতকরণ একটি সনদ) দেওয়া হয়েছে। এখন এই আবেদনকারী ১৮০ দিনের মধ্যে আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য জানানো হবে এবং এরপরই কার্ড দেওয়া হবে।
Advertisement
এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়ে আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে দূতাবাস থেকে।
এমআরএম/এমএস