অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বনানী থানার বরখাস্ত পরিদর্শক ই-অরেঞ্জের সোহেল রানাকে সাজা দিয়েছে ভারতের একটি আদালত। বর্তমানে তিনি পশ্চিমবঙ্গের আলীপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে আছেন। পুলিশ সদরদপ্তরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পুলিশের এ প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের সোহেলকে এক বছরেও ভারত থেকে ফেরানো যায়নি
তিনি জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রতিবেদন এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বনানী থানার পরিদর্শক ই-অরেঞ্জের সোহেল রানার সাজা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন এখনো এফিডেভিট করা হয়নি। এফিডেভিট করে হাইকোর্টে দাখিল করা হবে।
Advertisement
গত বছরের ৭ এপ্রিল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে বণ্টন করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। তখন অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন আদালত। এছাড়া এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনতে ভারতে চিঠি পুলিশ সদরদপ্তরের
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
Advertisement
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক ভারতে আটক
গত বছরের ৩ এপ্রিল ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তারেক আলম নামে এক ব্যক্তিসহ ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার ৫৪৭ গ্রাহক। রিটে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাওয়া হয়।
গ্রাহকদের পক্ষে ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম রিট আবেদনটি দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এফএইচ/এমকেআর