মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মীর অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে বিগত যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে এনজিওগুলো বেশ সোচ্চার। মালয়েশিয়ান বার কাউন্সিলসহ যেসব এনজিও শ্রমিকের অধিকার নিয়ে কাজ করছে তাদের মধ্যে অন্যতম এনজিও তেনাগানিতারের নির্বাহী পরিচালক গ্লোরেন দাস অভিবাসী শ্রমের জন্য জাতীয় ব্যাপক নীতি বাস্তবায়নের জন্য সরকার ও নিয়োগকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
Advertisement
গ্লোরেন বলেন, যদিও শ্রম আইন অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা দেয়, তবে এ আইন প্রয়োগ শিথিল এবং কখনো কখনো অস্তিত্বহীন।
আরও পড়ুন>>> মালয়েশিয়ায় চলতি বছরে ১৯ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার সংবাদ মাধ্যম এফএমটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্লোরেন বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত একটি ব্যাপক নীতি কার্যকর করা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত অভিবাসী শ্রমিকদের শোষণ করা অব্যাহত থাকবে এবং তাদের অধিকার সুরক্ষিত হবে না।
Advertisement
অনেক অভিবাসী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রের বিরোধগুলি সমাধান করার জন্য উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম নেই। কারণ তারা ট্রেড ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সে ক্ষেত্রে তিনি বলেন, এনজিওগুলো মনিটরিং, কর্মীদের অভিযোগ পরিচালনা, শ্রমিকদের অধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনা এবং নির্যাতিত শ্রমিকদের আশ্রয় দিতে পারে।
তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে গেন্টিং হাইল্যান্ডে প্রায় ২০০ অভিবাসী শ্রমিক ধর্মঘটে গিয়েছিলেন। যার ফলে উসকানি দেওয়ার জন্য দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন>>> মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপন
Advertisement
মজুরি ও কাজের সময় নিয়ে শ্রমিকরা অসন্তুষ্ট। বঞ্চিত বা শোষণের শিকার হলেও সম্মিলিত প্রতিবাদ করার কোনো অধিকার তাদের নেই স্বীকার করে মিস্টার দাস বলেন, যে নন-ইউনিয়ন সদস্যদের জন্য ধর্মঘট বেআইনি কিন্তু অভিবাসী শ্রমিকরা জেনেশুনে আইন ভাঙতে চাইবে না।
নর্থ সাউথ ইনিশিয়েটিভ এনজিওর আদ্রিয়ান পেরেইরা বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, শ্রমিকদের ধর্মঘটে যাওয়ার প্রয়োজন ছাড়াই লেবার অফিস দ্বারা সমস্যাটি আরও ভালভাবে পরিচালনা করা উচিত ছিল।
এমআইএইচএস/এমএস