ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের উপ-নির্বাচনের সময় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা যদি কোনো এলাকায় আসেন, তাহলে তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
Advertisement
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক দলীয় সভা শেষে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতির কারণে আমাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে: আব্দুস সাত্তার
এসময় আল মামুন সরকার বলেন, ‘আশুগঞ্জ-সরাইলে যে উপ-নির্বাচন হচ্ছে এতে দলীয়ভাবে আমাদের কোনো প্রার্থী নেই। এরপরও আসনটি যেহেতু বিএনপির ছিল, সেই প্রেক্ষাপটে বিএনপির নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আশুগঞ্জে এসে একটি মিটিংয়ে নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে যারা বিঘ্ন সৃষ্টি করেন দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রয়োজনে তাদের প্রতিহত করা আবশ্যক। সেই প্রেক্ষাপটে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সরাইল-আশুগঞ্জে যে উপ-নির্বাচন হবে, সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনে এবং প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার প্রয়োজনে প্রশাসনকে আমরা সহযোগিতা করবো। যদি কোনো ব্যক্তি বা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেন, তাহলে আমরা আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছি তাদের প্রতিহত করতে।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘রুমিন ফারহানা এসে তার দলের নেতাকর্মীদের উসকে দিতে চেয়েছেন। উপ-নির্বাচনের সময় তিনি যদি সরাইল বা আশুগঞ্জের কোথাও আসেন, তাহলে তাকে প্রতিহত করা হবে।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মৃধাও
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছফিউল্লাহ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ নেতা শাহজাহান সাজু প্রমুখ।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
আরও পড়ুন: ডাবের বদলে কলার ছড়া পেলেন সাত্তার
এ উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবারও অংশ নিতে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া। তিনি এ আসনে পাঁচবার এমপি ছিলেন।
আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এমএস