আন্তর্জাতিক

১৯৫৫ সালের পর ৬৮ প্লেন দুর্ঘটনা, মারা গেছে নয় শতাধিক

বিশ্বজুড়ে নিরাপদ পরিবহন হিসেবে বিবেচনা করা হয় বাণিজ্যিক ফ্লাইটকে। কিন্তু প্লেন দুর্ঘটনার সংখ্যা ও মৃত্যুর হিসাব করলে নেপালের ক্ষেত্রে এই ধারণা একেবারেই বেমানান।

Advertisement

নেপালের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫৫ সালের পর দেশটিতে অন্তত ৬৮টি প্লেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪৪টি ছিল প্রাণঘাতী। কয়েকদিন আগে ইয়েতি এয়ারলাইনসের যে একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে তাও এই সংখ্যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এই ঘটনায় মারা গেছেন ৭২ জন। অর্থাৎ আরোহীদের সবাই মারা গেছেন।

আরও পড়ুন>দুর্ঘটনাস্থল থেকে ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার

সাম্প্রতিক ট্র্যাজেডি হিমালয়ের দেশটিতে প্লেন ভ্রমণের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। নেপালে মাউন্ট এভারেস্টসহ বিশ্বের কিছু উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ রয়েছে। তাছাড়া বিদেশি পর্যটক, পর্বতারোহী ও স্কিয়ারদের কাছেও দেশটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।

Advertisement

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, নেপালে ১৯৫৫ সালের পর যে ৬৮টি প্লেন দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে প্রাণ হারিয়েছে নয় শতাধিক।

আরও পড়ুন>২০১০ সাল থেকে নেপালে যত ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনা

রোববার (১৫ জানুয়ারি) পশ্চিম নেপালের কাস্কি জেলার পোখারায় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন ৭২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। পরে সবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে নেপাল কর্তৃপক্ষ।দেশটির অভ্যন্তরীণ রুটে বিধ্বস্ত প্লেনে স্থানীয়দের পাশাপাশি ১৫ বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন ভারতের, চারজন রাশিয়ান, একজন আইরিশ, দুজন দক্ষিণ কোরিয়ার, একজন অস্ট্রেলিয়ার, একজন ফ্রান্সের ও একজন আর্জেন্টিনার নাগরিক।

কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি এটিআর-৭২ প্লেন অবতরণের কয়েক মিনিট আগে বিধ্বস্ত হয়।

Advertisement

এমএসএম