গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানার মামুদপুর এলাকায় জমির মালিকানা ও দখল নিয়ে জিল্লুর রহমান ও মো. আরিফুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ ছিল। জিল্লুর রহমানকে আরিফুল ইসলাম প্রায়ই হত্যার হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাতেন। এক পর্যায়ে ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সেই জমিতেই জখম করে হত্যা করা হয় জিল্লুরকে।
Advertisement
এরপর রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পলাতক জীবন-যাপন করেন মো. আরিফুল ইসলাম (৩৮)। দীর্ঘ ১১ বছর পর অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-৪। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় র্যাব-৪ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার জিল্লুর রহমান হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. আরিফুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন>>> এমপি লিটন হত্যা: ইন্টারপোলের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকার আসামি গ্রেফতার
Advertisement
র্যাব জানায়, জিল্লুর রহমান ও আসামিরা গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার মামুদপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। ভুক্তভোগীর সঙ্গে আসামিদের একটি জমির মালিকানা ও দখল নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। আসামিরা ওই জমি নিয়ে জিল্লুর রহমানের পরিবারকে হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন।
আরও পড়ুন>>> বন্ধুকে হত্যা, ১১ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
এর প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে জিল্লুর রহমান জমিতে ধান লাগানোর জন্য গেলে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা মতে জিল্লুরকে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। আত্মীয়-স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় জিল্লুরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদী হয়ে আরিফসহ ১২ জনকে আসামি করে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
Advertisement
আরও পড়ুন>>> ৬ বছর পালিয়ে থাকার পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ মামলায় জিল্লুর রহমান হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে আসামি আরিফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। মামলা হওয়ার পর থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আরিফুল পলাতক ছিলেন। গ্রেফতার আসামি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আত্মগোপন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে গত ১১ বছর ধরে ছদ্মবেশ ধারণ করে সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, গাজীপুর, বাড্ডা, রামপুরাসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে আসছিলেন তিনি। এসময় তিনি ক্রমাগত পেশা ও অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিলেন।
গ্রেফতার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
আরএসএম/এমআইএইচএস/জিকেএস