দেশজুড়ে

খালে পড়ে আছে কালভার্ট, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

উদ্বোধনের বছরই ধসে পড়ে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের পুঠিয়াপাড়া বক্স কালভার্ট। এতে দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন চার গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ। শুষ্ক মৌসুমে যেমন-তেমন বর্ষায় এ পথে যাতায়াতে বিশেষত শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। কালভার্টটি অপসারণ করে নতুন কালভার্ট নির্মাণ না করায় দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

Advertisement

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মানুষের যাতায়াত সুবিধার্থে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পুঠিয়াপাড়া স্কুল সংযোগ সড়কে পাঁচ মিটার দৈর্ঘ্যের এ বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। তবে কালভার্টটি নির্মাণে কত টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি উপজেলা ও জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

স্থানীয়রা জানান, ২০২০ সালের বন্যায় পানির তোড়ে দুপাশের সড়কের মাটি সরে গেলে কালভার্টটি ধসে পড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো সেটি মেরামতে কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। এতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছেন। দুর্ভোগে পড়েছেন পুঠিয়াপাড়া, পোড়ার চর, নতুন পোড়ার চর, খাসিমারাসহ চারটি গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ।

সামিউল ইসলাম চাঁন নামে স্থানীয় এক বৃদ্ধ জানান, কালভার্টটি দেওয়া হয়েছিল স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য। খালের পশ্চিম পাশে সব মিলিয়ে চারটি স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে উদ্বোধনের পরপরই কালভার্টটি খালের ওপর ধসে পড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকলেও সংস্কারে উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা মনছুর আলী জানান, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত। স্কুল শিক্ষার্থীদেরও এটিই চলাচলের একমাত্র পথ। কালভার্টটি কোনো কাজেই এলো না। মাঝখানে সরকারের অনেকগুলো টাকা জলে গেল। এখন এটি মেরামতেরও কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙা কালভার্ট অপসারণ করে নতুন কালভার্ট নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এলাকাবাসী বলছেন, এ রাস্তা দিয়ে পুঠিয়াপাড়া, খাসিমারা, বন্দুইরা, নালছিয়া, পোড়ার চর, নতুন পোড়ার চরের মানুষের নিয়মিত যাতায়াত। বর্ষা মৌসুমে গ্রামবাসীর ভোগান্তির শেষ থাকে না।

মেলান্দহ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী শুভাশিস রায় জাগো নিউজকে বলেন, এ এলাকায় তিনি নতুন যোগদান করেছেন। কালভার্টটির হালচাল সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই।

তিনি জানান, কালভার্টের সংযোগ সড়কের রাস্তাটি এখনো ভালো। কিন্তু কালভার্ট নষ্ট হয় গেছে। সাধারণত, কালভার্টের বরাদ্দ পাওয়া মুশকিল। তবুও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।

Advertisement

এ বিষয়ে জামালপুর জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সায়েদুজ্জামান সাদেক মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নেওয়ার পর বলতে পারবো।

মো. নাসিম উদ্দিন/এমকেআর/জেআইএম