বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে একজন নিহতের পর ক্যাম্পের কয়েকশ ঘরে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এতে রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
Advertisement
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে মিয়ানমারের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসা ও আরএসও’র মধ্যে ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এরপর সন্ধ্যা হতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নাইক্ষ্যংছড়ির রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, নিহত ১
স্থানীয়রা জানান, গোলাগুলির ঘটনায় কয়েকশ রোহিঙ্গা পরিবার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়। পরে সন্ধ্যায় তাদের ক্যাম্পের বসতঘরে আগুন দেওয়া হয়।
Advertisement
রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সকালে গোলাগুলির ঘটনার পর সন্ধ্যায় ক্যাম্পের ঘরগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়েছে খুন, টার্গেটে ‘মাঝি-স্বেচ্ছাসেবক’
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা জানান, গুলির ঘটনায় একজন নিহতের পর সন্ধ্যায় ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর শুনেছি।
এর আগে সকালে ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে হামিদুল্লাহ (২৭) নামের একজন নিহত হন।
Advertisement
আরও পড়ুন: অস্থির রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আমাদের নিরাপত্তা
স্থানীয় সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিচ্ছিন্নতাবাদী দুটি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
নয়ন চক্রবর্তী/জেডএইচ/