পারলো না বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে যে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে সেটা আবারও প্রমাণ হয়ে গেলো। শুরুতেই ভারতকে ভালোভাবে চেপে ধরতে পেরেছিল মাশরাফিরা। কিন্তু ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখতে পারেনি।ধীরে ধীরে টাইগারদের হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ বের করে নিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৪৫ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করলো ফেভারিট ভারত।ভারতের ছুড়ে দেয়া ১৬৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানে থেমে গেলো বাংলাদেশ। একমাত্র সাব্বির রহমান ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানই পারেনি ভারতীয় বোলারদের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করতে। বরং, আশীষ নেহরা, যশপ্রিত বুমরাহদের কাছে উল্টো ধুঁকতে হয়েছে তাদেরকে। একই সঙ্গে ফিল্ডিংয়ে সাকিব আল হাসান ২৫ রানে থাকা রোহিত শর্মার ক্যাচ মিস করাটাও ছিল একটা বড় কারণ।মূলত ভারতের ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মার কাছেই হারতে হলো বাংলাদেশকে। তার ৫৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংসটিই ভারতকে বড় রানের চ্যালেঞ্জ গড়তে সহযোগিতা করে। তার সঙ্গে শেষদিকে হার্দিক পান্ডের ৩১ রানের ইনিংসটিই ম্যাচকে বাংলাদেশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যায়।মিরপুরের উইকেটে ১৩০-১৪০ রানই যথেষ্ট। সেখানে ১৬৬ রান তো একেবারেই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তারওপর ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিও ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। মোহাম্মদ মিঠুনকে দিয়ে একটা গেম খেলতে চেয়েও ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ।১৬৭ রানের লক্ষ্যটা অনেক বড়ই। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ওভারেই আশীষ নেহরাকে মেইডেন ওভার দিয়ে যাচ্ছিলেন প্রায় সৌম্য সরকার। শেষ বলে ৩ রান নিয়ে মেইডেন হওয়া থেকে ওভারটা রক্ষা করেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে যশপ্রিত বুমরাহর কাছ থেকে ৬ রান নেন দুই ওপেনার; কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই বিপদটা ঘটিয়ে দিলেন মোহাম্মদ মিঠুন।ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারের সঙ্গে মিঠুনকেই নামানো হয় মাঠে। ইমরুল কায়েসকে বসিয়ে রাখা হয় শেষের দিকে ব্যাট করার জন্য। কিন্তু মিঠুন তার ওপর আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে গেলেন আশীষ নেহরার বলে। ৩ বল খেলে করলেন মাত্র ১ রান।পরের বলেও অবশ্য আউটের জোরালো আবেদন উঠেছিল। কিন্তু সাব্বির রহমান এ যাত্রায় বেঁচে যান। সাব্বির বাঁচলেও পরের ওভারে বুমরাহর বলে বাঁচতে পারলেন না সৌম্য সরকার। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলেই উইকেটের পেছনে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য । ১৪ বলে ১১ রান করেন তিনি।১৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চরম বিপদে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন ইমরুল কায়েস এবং সাব্বির রহমান। যদিও এ দু’জনের স্লো ব্যাটিং ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে পরাজয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। কারণ, ৯ ওভারে ৪৮ রান কোনোভাবেই জয়ের মানসিকতা তৈরি করে না।শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ১৪ রানের ‘টেস্ট ইনিংস’ খেলে আউট হলেন ইমরুল কায়েস। ১০ম ওভারের ৫ম বলে গিয়ে রবিচন্দ্র অশ্বিনের বলে যুবরাজ সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইমরুল কায়েস। সাকিব আল হাসান চেষ্টা করেছিলেন অফফর্ম থেকে ফিরে আসতে। কিন্তু ৮ বলে মাত্র ৩ রান করেই নিজের ভুলে রানআউট হয়ে যান তিনি।মাহমুদুল্লাহ করেন ৭ রান। মাশরাফি আউট হন কোন রান না করেই। শেষ পর্যণ্ত মুশফিক ১৬ রানে এবং তাসকিন আহমেদ ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ওপেনার ইমরুল কায়েসকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয় চার নম্বরে। সুতরাং, মাত্র ১৪ রান করেই আউট হয়ে গেলেন তিনি।আইএইচএস/বিএ
Advertisement