আইন-আদালত

পি কে হালদারের মামলায় ৯৯ জনের সাক্ষ্য শেষ

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৯৯ জন।

Advertisement

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ জন সাক্ষ্য দেন। এরপর আগামী ২৫ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত।

আরও পড়ুন: এত টাকা কীভাবে পাচার করলো পি কে হালদার?

সাক্ষীরা হলেন- ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী, আশেম ইমাম, মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান শাখার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট নকীবুল ইসলাম এবং খিলগাঁও সাব-রেজিস্ট্রার এস এম শফিউল বারী। এ নিয়ে মামলাটিতে ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। দুদকের আইনজীবী মীর আহাম্মদ আলী সালাম এ তথ্য জানান।

Advertisement

আরও পড়ুন: পি কে হালদার এমন কৌশলে ঋণ নিয়েছে, তাকে সরাসরি ধরা কঠিন

এদিন সাক্ষ্য গ্রহণের সময় কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া পিকে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। বাকি পলাতকরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

আরও পড়ুন: পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা জটিল, পি কে হালদার প্রসঙ্গে দুদক সচিব

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন তিনি। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন।

Advertisement

জেএ/কেএসআর/জেআইএম