বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ দুই আসনের উপ-নির্বাচনে বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, গতবার আমার লোকজন কম ছিল। এবার আমার জনপ্রিয়তা ও কর্মী-সমর্থক অনেক। তাই কেউ হামলার চেষ্টা করলে পাল্টা হামলা করা হবে।
Advertisement
২০১৮ সালের নির্বাচনে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম হিরো আলমের হাতে ‘একতারা’ প্রতীক তুলে দেন।
তার আগে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) হিরো আলমকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
Advertisement
আরও পড়ুন: মাশরাফি-মাহি-মমতাজ পারলে আমি কেন হতে পারবো না: হিরো আলম
গত ৮ জানুয়ারি হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। দুই আসনের প্রতিটিতে ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের সইসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল আছে উল্লেখ করে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানির পর তা বাতিল করে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ১০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন হিরো আলম। পুনর্বিবেচনা শেষে কমিশন তার আপিল আবেদন খারিজ করে দিলে হিরো আলম উচ্চ আদালতে আসেন।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর ২টায় হিরো আলমকে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমি অভিনয় অঙ্গনের মানুষ। অভিনয় ও গান নিয়ে আমার কাজ। এজন্য একতারা প্রতীক পেয়ে আমি খুব খুশি।’
Advertisement
আরও পড়ুন: আপনাদের দোয়া-ভালোবাসায় প্রার্থিতা ফিরে পেলাম: হিরো আলম
তিনি আরও বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও আমার অনেক যুদ্ধ করে প্রার্থিতা পেতে হয়েছে। কেন এরকম বারবার হয়রানি করা হয় জানি না। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে আমি পুরোপুরি আশাবাদী। সাধারণ মানুষ তাদের সেবা করার জন্য আমাকেই সুযোগ দেবেন বলে আমি নিশ্চিত।’
বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম শৈশবে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি বিক্রি এবং ডিস সংযোগের ব্যবসা করেন। নিজেই মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিস লাইনে সম্প্রচার শুরু করেন। এভাবে হিরো আলমের তৈরি মিউজিক ভিডিও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন।
আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচন: হিরো আলমের প্রার্থী হতে বাধা নেই
বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য পদত্যাগ করায় বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ দুই আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এসআর/জেআইএম