ভ্রমণ

ঐতিহাসিক সোনারগাঁও ভ্রমণে যা যা দেখবেন

মিরাজ উদ্দিন

Advertisement

ঐতিহাসিক সোনারগাঁও শুধু ১৫০ বছরের পুরোনো স্মৃতি বিজড়িত ধ্বংসাবশেষ নগরীই নয়, এর সঙ্গে জড়িত আছে একটি স্বাধীন জাতির আত্মপরিচয়ের অনুভূতি।

ইতিহাসের আবহমান ধারায় অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে এ অনভূতি আরও সুদৃঢ় হয়েছে। সোনারগাঁওয়ের পুরোনো স্থাপত্য দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ছুটে বিদেশি পর্যটকরাও।

এই কিছুদিন আগে আমরা কয়েকজন মিলে ঘুরতে গেলাম সোনারগাঁওয়ে। ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম ঠিক সকাল ৯টায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: একদিনেই ঘুরে আসুন সোনারগাঁও জাদুঘরে

ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রথমে টিকিট কিনলাম জনপ্রতি ৫০ টাকা করে। ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়লো সরদার বাড়ি, যা ঈশা খাঁ জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত।

বাড়ির সামনে আমরা ফটোসেশন করি। এর পাশেই আছে একটি গরুর গাড়ির স্থাপত্য। আরেকটু সামনে দেখা মিলবে জয়নুল আবেদীনের ভাষ্কর্য।

এর পাশেই বাঙালি কৃষকদের হারিয়ে যাওয়া জিনিসগুলো সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে আছে লাঙল, মই, কৃষকের মাথার টুপি, মাছ ধরার জাটকা, ধান পরিষ্কার করার কুলা ইত্যাদি।

Advertisement

এরপর আমরা কারুপল্লী মার্কেটের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ একটি সাঁকো সামনে আসলো। সাঁকো পার হতে সবাই অনেকটা ভয় পেয়েছিলো।

সেখানে দেখা মিললো, শিশুদের বিভিন্ন খেলনা সমগ্রীর। আরও উত্তর দিকে কারুপল্লী মার্কেটে অনেকগুলো দোকান দেখলাম। সেখানে একেকটি দোকান একেক ধরনের জিনিসপত্র দিয়ে সাজিয়ে রেখেছেন দোকানীরা।

আরও পড়ুন: ঢাকার কাছেই লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর

দোকানগুলোতে আছে মাটির তৈজসপত্র ও কাঠের তৈরি আসবাবপত্র। আরও আছে কুঠির শিল্পের সমগ্রীসমূহ। সেখানে আরও পাবেন মসলিন কাপড়ের দোকান। একসময় মসলিন কাপড় সারা বিশ্বে সমাদৃত ছিল। সময়ের ব্যবধানে আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে।

এরপর আমরা সবাই খেলার জন্য স্থান নির্ধারণ করি। সেখানে ৪টি দলে বিভক্ত হয়ে একটা প্রীতি ম্যাচ শেষ করি। কীভাবে যে বিকেল ৩টা বেজে গেল গড়ির কাঁটার দিকে না তাকালে বুঝতামই না।

আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট কোনটি?

সোনারগাঁও এর সামনেই রূপসী হোটেল ঢুকে এবার আমরা পেট পুরে ভাত খেয়ে নিলাম। খাওয়া শেষ করে করে আমরা একটি আলোচনা সভার আয়োজন করি।

একেক করে সবাই নিজেদের ইচ্ছেমতো গান শোনালেন। তখন সময়টা ছিল বেশ চমৎকার। ঘড়ির কাটা ৫টা বাজতেই আমরা গড়িতে চড়ে বসি বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে। স্মৃতি হিসেবে আজীবন রয়ে যাবে এই ঐতিহাসিক ভ্রমণ।

জেএমএস/জেআইএম